| ভোর ৫:৫৭ - সোমবার - ২২শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

খুলনা-কলকাতা রেল চলবে, মৈত্রী সম্পূর্ণ এসি হবে

অনলাইন ডেস্ক | ২৮ মে ২০১৫, বৃহস্পতিবার,

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে দিল্লিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশী উর্ধ্বতন রেল কর্মকর্তারা বাংলাদেশের রেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের মধ্যে রেল নেটওয়ার্ক চালু করার বিষয়ে একটি প্রস্তাব দিতে সম্মত হয়েছেন। খবর পিএনএস-এর।
ওই খবরে বলা হয়েছে, আজ উভয় দেশের কর্মকর্তরা ঢাকা-কলকাতা চলমান মৈত্রী রেলকে সম্পূর্ণ শিততাপ নিয়ন্ত্রিত করা এবং খুলনা-কলকাতা সরাসরি যাত্রীবাহী সার্ভিস চালু করতে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন। খুলনা-কলকাতা রেল চালু করতে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ইন্টার গর্ভনমেন্টাল মিটিং (আইজিআরএম) একটি যৌথ সমীক্ষা সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে অবিলম্বে দুদেশের মধ্যে কন্টেইনার ট্রেন চালু করার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
আজ ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিএনএস জানায়, উভয় পক্ষ এই বিষয়ে একটি পারস্পরিক বিশ্বাস এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে একযোগে কাজ করতেও একমত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিলে ঢাকায় বাংলাদেশ-কলকাতা মৈত্রী সার্ভিস সপ্তাহে তিন দিন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হওয়ায় উভয় পক্ষ সেেন্তাষ প্রকাশ করেছে। এখন এটা চার বারে উন্নীত করার লক্ষে বাংলাদেশ রেল সম্ভাব্য যাচাই করে দেখবে।
ভারতীয় একজন রেল কর্মকর্তা বলেন, আমরা কন্টেইনার ট্রেন চালানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছি। কারণ এর ফলে আন্তঃসীমান্ত ছাড়পত্রসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা জটিলতা পরিহার করা সম্ভব হবে।
আসামের রুমালিগড় রিফাইনারি থেকে বিদ্যমান রোহানপুর ও সিঙ্গাবাদ রুট হয়ে পার্বতীপুর পর্যন্ত রেলযোগে পেট্রলিয়ামজাত পণ্য পরিবহণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেল কানেকটিভিটি বাড়াতে রাধিকাপুর (ভারত)-বিরল, চিলাহাটি ও হলদিবাড়ি (ভারত), শাহবাজপুর-মহিশাসন (ভারত), আখাউড়া-আগরতলা (ভারত) এবং ফেনী ও বেলোনিয়ার (ভারত) মধ্যে রেলচালু করতে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০:২২ অপরাহ্ণ | মে ২৮, ২০১৫