| সকাল ৭:৪৪ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক

অন লাইন ডেস্ক, ২৮ মে ২০১৫, বৃহস্পতিবার,
রংপুরে সহকারী শিক্ষিকার সাথে জোরপুর্বক অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের শাসিত্মর দাবিতে বিক্ষোাভ করেছে শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভিআইপি শাহাদত হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ খোর্দ্দ রংপুর এলাকায় ভিআইপি শাহাদত হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরশাদ হোসেন খোকন। ওই বিদ্যালয়ের অবিবাহিত সহকারী শিক্ষিকা রিতা আক্তার। দেখতে সুন্দরী হওয়ায় বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় নানাভাবে রিতাকে উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত ওই প্রধান শিক্ষক। বিবাহিত প্রধান শিক্ষকের এসব অনৈতিক কাজে সায় না দেওয়ায় তাকে বিয়ে করারও প্রস্তাব দেয় প্রধান শিক্ষক। কিন’ প্রধান শিক্ষককের এসব কথায় কান না দেওয়ায় নানাভাবে হুমকি দেয় ওই শিক্ষক। এরপর প্রধান শিক্ষক গত বুধবার স্কুল ছুটি ঘোষণা করে কাজের কথা বলে একটি কক্ষে ডেকে নেয় সহকারী শিক্ষিকা রিতাকে। ঘরে ডেকেই দরজা বন্ধ করে শিক্ষিকার উপর জোরপূর্বক যৌন নিপিড়নের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিক্ষিকার চিৎকারে স্কুলের শিক্ষার্থী এবং স্কুলের পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে এবং প্রধান শিক্ষককে উত্তম মধ্যম দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে মাহিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়ে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী চরিত্রহীন লম্পট প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোাভ করেছে। ছুটি দেওয়ার ওই সময় অন্যান্য শিক্ষকরা ছিলেন না বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজু মিয়া, সুলতানা জানায় আমাদের প্রধান শিক্ষকের চরিত্র যদি এমন হয় তা হলে আমরা তার কাছে কী শিখব ? তারা ওই শিক্ষকের দৃষ্টাত্মমুলক শাস্তি দাবি করে।
এলাকাবাসি আজম মিয়া জানান, এরআগেও ওই প্রধান শিক্ষককে আমরা হাতে নাতে ধরেছি অনৈতিক কাজে। অভিযোগ দেওয়ার পরও তার বিরম্নদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এ কারণে আমরা আমাদের শিশুদের ওই বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
সহকারি শিক্ষিকা রিতা আক্তার জানান, তাকে প্রধান শিক্ষক নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। গতকাল (বুধবার) তিনি আমাকে একটি কড়্গে ডেকে নিয়ে গিয়ে শস্নীলতা হানির চেষ্টা চালায়।  এব্যাপারে প্রধান শিড়্গক এরশাদ হোসেন খোকন তার বিরম্নদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন একটি মহল তাকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে, তারাই এসব করছে। মাহিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল আজিজ বলেন, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককের অনৈতিক কাজের সময় তাকে আটক করে মারধর করছিল। এ সময় জনতার রোষানল থেকে বাঁচাতে আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি।এফএনএস:

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৫৫ অপরাহ্ণ | মে ২৮, ২০১৫