| দুপুর ১২:৪৪ - রবিবার - ২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ - ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

ফোনের ব্যবহার…

অনলাইন ডেস্ক, ২৬ মে ২০১৫, মঙ্গলবার:

আমাদের প্রতিমুহুর্তের জীবনের সঙ্গে, সঙ্গী হয়েছে ফোনের ব্যবহার। আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে এই যন্ত্রের ব্যবহার করি। এই যন্ত্রটি সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে আমাদের কেমন করে সাহায্য করছে তা নিশ্চয় নতুন করে বলতে হবে না। যা বলতে হবে, এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থান এবং কালের লক্ষ্য রাখা।

আমরা নিজের বাড়ির বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে চা খেতে খেতে যেভাবে বন্ধুর সঙ্গে গল্প করতে পারবো, পাবলিক বাসে নিশ্চয় তা করা দৃষ্টিকটু লাগবে। খুব উচু স্বরে ব্যক্তিগত কথা বললে অন্যদের দৃষ্টিও তার দিকে পড়ে। আর অনেকে বিরক্তও হয়।

আবার ধরুন অফিসের কথা। সবাই কাজ করছেন এর মধ্যে একজন হয়তো ফোনে পরিবারের কারও সঙ্গে ঝগড়াই শুরু করে দিল। এতে অন্যদের কাজে সমস্যা হয়, আর অনেকে মুখ টিপে হাসারও সুযোগ পায়।

কোথাও হয়তো ভালো নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না, তথন ফোনে কথা বলার সময় এক কথা বারবার বলতে হয়, অনেকে চিৎকার করে বলতে থাকেন, বুঝতে হবে জোরে কথা বললেই অন্য প্রান্তে যিনি আছেন তিনি জোরে শুনতে পাবেন না। অযথা নিজের কষ্ট হবে, আর পাশের সবাই হবে বিরক্ত।

অনেকে আবার ফিসফিস করে কথা বলে, এটা কিন্তু আরও বাজে শোনায়, দেখা যায় কাজ ফেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফিসফিস করে ফোনে কথা বলছেন, এতেও অন্যদের কাজের ক্ষতি হয়।

কেউ কেউ আছেন, হয়তো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন এমন সময় অন্য কারও সঙ্গে লম্বা সময় ধরে ফোনে কথা বলছেন, এতে অন্য বন্ধুদের তার প্রতি বিরক্তি জন্মাতে বাধ্য।

অপরিচিত কেউ কথা বলতে আগ্রহী না হলে বারবার ফোন করে বিরক্ত করা যাবে না। আর কখনোই কারও অনুমতি ছাড়া তার ফোন নম্বর অন্য বন্ধুদের দেওয়া ঠিক নয়।

যেকোনো জায়গাতেই প্রয়োজনে আমরা ফোনের মাধ্যমে প্রিয়জন, বন্ধু-আত্মীয় বা সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলবো। তবে তা হবে, মার্জিত ভাষায় এবং অবশ্যই পরিমিত।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:১৮ অপরাহ্ণ | মে ২৬, ২০১৫