| রাত ৮:৩২ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

তাড়াইলে কালবৈশাখী ঝড়ে দেড়শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড- আহত ৩০

 

আমিনুল ইসলাম বাবুল,তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) :   ২৪ মে, রোববার,
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে শনিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বসত্ম হয়ে পড়েছে। এসময় টিনের ছালা ও গাছের ডাল পড়ে অন্তত নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ে তা-বে সহস্রাধিক গাছপালা ভেঙ্গে গেছে এবং বিদ্যুৎ লাইনের খুটি পড়ে ও তার ছিড়ে যাওয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ে আহতদের মধ্যে উপজেলার রাহেলা গ্রামের মৃত শুকুর মামুদের স্ত্রী উকিলের মা (৬০) কে আশংকাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া একই গ্রামের সুবল সরকারের স্ত্রী দিপালী সরকার (৪০), মরিয়ম (৩০), রওশনআরা বেগম (৪৫), দেবী রানী মলিস্নক (৮), মতি লাল সরকার (২৮), কাচিলাহাটি গ্রামের শহিদুলস্নাহ (৩২), আবদুল কদ্দুছ(৩৪), উজ্জ্বল মিয়া (৩৬)সহ অনেকেই স’ানীয় হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে প্রচন্ড বেগে আসা কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার রাহেলা, দামিহা, হাতকাজলা, সেচুয়াকান্দি, সিংগুয়ারপাড়, মাগুরী, আনোয়ারপুর, দিগদাইড়, রাউতি, ধলা, তালজাঙ্গা, সাচাইল গ্রামের গাছপালা, কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ড়্গয়ড়্গতি হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী ড়্গতিগ্রস’ হয়েছে দামিহা ইউনিয়নের রাহেলা, হাতকাজলা, সেচুয়াকান্দি, মাগুরী, সিংগুয়ারপাড় গ্রামের। এসব গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি পড়ে গেছে এবং ঘরের ছালা এমনকি তৈজষপত্রও ঝড়ে উড়ে গেছে। ঝড়ে উড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় অনেক লোকজন তাদের ঘরের ছালা খোঁজে পাচ্ছে না। ফলে এসব মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। অনেকেই আবার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলা রাহেলা গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ঘরের ছালা ঝড়ে উড়ে গেছে। গতকাল শনিবার সারাদিন বিভিন্নস্থানে খোঁজেও সন্ধান পাননি তিনি। একই গ্রামের সুবল চন্দ্র সরকার, মতি লাল সরকারসহ অনত্মত ২০ ব্যক্তির ঘরের ছালা ঝড়ে উড়ে গেছে। এসব মানুষ এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। রাহেলা গ্রামের ফুলেছা বেগম (৮০) জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলেন। হঠাৎ প্রচ- গতিতে ঝড় আসলে তাঁর ঘরের ছালা উড়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজেও সন্ধান মিলেনি। রাহেলা গ্রামের উত্তম সরকার (২৮) জানান, মাত্র পাঁচ মিনিটের ঝড়ে বাড়ি ঘর উঠে গেছে ও অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে লন্ডভন্ড- হয়ে পড়েছে।
দামিহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ.কে মাইনুজ্জামান নবাব জানান, ঝড়ে দামিহা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম সবচেয়ে বেশি ড়্গতিগ্রস’ হয়েছে। এসব গ্রামের মানুষ ঘর বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেক মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:২১ অপরাহ্ণ | মে ২৪, ২০১৫