| দুপুর ২:৫৫ - বৃহস্পতিবার - ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বাজিতপুরে তুচ্ছ ঘটনায় ভয়াবহ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত অর্ধশত ঃ ২ শতাধিক বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাট

 

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ ২৩ মে ,শনিবার,

– কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরশহরের পূর্ব মথুরাপুর গ্রামের একটি মাছের প্রজেক্টে ছোট বাচ্চারা গোসল করাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মথুরাপুর বাঘের ওয়াহিদ মিয়া ও শাহাপুর বড়বাড়ির সানাউলস্না লোকজনের মধ্যে গত শুক্রবার বিকালে তর্কাতর্কি হয়। এরই জেরে পুলিশ ওয়াহিদ মিয়া (৫০) কে থানায় আটক করে। এরই জের ধরে আজ শনিবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শাহাপুর বড়বাড়ির পক্ষে কৈলাগ, পাটুলী দিঘীরপাড়ের সহস্রাধিক গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের উপসি’তিতে ৫০-৭০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুঁড়লে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, পৌর প্যানেল মেয়র মোঃ হারম্নন অর রশিদ, তার ছোট আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে। এদের মধ্যে রাজু আহম্মেদ (৬৭), জুয়েল মিয়া (১৮), ফরিদ মিয়া (৩৫) লাল মিয়া (৭০) রাতিব (১৮), মামুন (১৯) কিতাব আলী (৭৫) গুলিবিদ্ধ এবং লিপা (২০) শিপা (১৪) কাজল মিয়া (২৫) সানাউলস্না মিয়া (৩৮) নাদিম মিয়া (১৪) ডিগ্রি পরীড়্গার্থী হোসেন মিয়া (২২) আতর আলী (৩৫) রোমান (৪০) শাওন (২৯) ফালু (৩৫) স্বাধীন (২০) সহ অর্ধশত আহত হয়েছে। এলাকা বাসীর সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের সমর্থিত ১জন চেয়ারম্যানের সহস্রার্ধিক লোকজন বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব মথুরাপুর গ্রামে মহরা দিয়ে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, ১৬টি গরু, ১৫ ভরি স্বণালংকার, নগদ চারলড়্গ টাকা, পৌর প্যানেল মেয়র হারম্নন অর-রশিদের ঘর ভাংচুর ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নগদ ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিনের ঘর ভাংচুর ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার নগদ ৪ লাখ টাকা, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মঞ্জুর মিয়ার বাড়ি-ঘর ভাংচুর মোঃ আবু কালামের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, হাজী আব্দুর রশিদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর, স্বর্ণালংকার নগদ টাকা, আশরাদ আলীর, চাঁন মিয়া, লিলু মিয়া, গোলাপ মিয়া, নুরম্নল ইসলাম, হাবিবুর রহমানের বাড়ি-ঘর ভাংচুর সহ অনত্মত ২ কোটি টাকার ড়্গতি সাধন ও বিভিন্ন বাড়ি হতে ২০-২৫ টি ছাগল নিয়ে গেছে। এ দিকে ওই প্রভাব শালীর চেয়ারম্যানের লোকজন অর্ধশত বাড়ি লুট করে যাওয়ার পথে একটি খরের লাছে আগুন লাগিয়ে বীরদর্পের মত চলে যায়। কিন’ পুলিশ বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারজিল হাসান ঘটনার স’ল উপসি’ত হয়ে দাঙ্গা এড়ানের জন্য পুলিশ কে গুলি করার নির্দেশ দিলে ও কোন গুলি করেনি এবং পুলিশ টিয়ারসেল নিড়্গেপ করেছে বলে জানাগেছে। এমনকি এলাকা বাসীর দাঙ্গা নিরসনে ব্যার্থ হওয়া এবং পুলিশের নিষ্কৃয় ভূমিকার জন্য ড়্গোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাম বাসী। এই দাঙ্গা ঘটনা খবর পাওয়ার পর বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ছারওয়ার আলম, হোসেন পুর সার্কেলের এ.এস.পি জামাল উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ ডিবি পুলিশ ঘটনা স’ল পরির্দশন করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩:৪০ অপরাহ্ণ | মে ২৩, ২০১৫