| সন্ধ্যা ৭:১৩ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নান্দাইলে পুলিশ কনস্টেবল জেল হাজতে

 

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ঃ ২২ মে, শুক্রবার,

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের তসরা গ্রামের কিশোরগঞ্জ জেলায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত মোঃ লিয়াকত আলী একটি মারামারি মামলায় বর্তমানে ময়মনসিংহ জেল হাজতে রয়েছে। মামলার বিবরন ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, পুলিশ কনস্টেবল লিয়াকত আলী দীর্ঘদিন যাবৎ কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে বাড়ী হতে কর্মস’লের দুরত্ব কমবিধায় সুযোগ পেলেই পুরো পুলিশী পোষাক পরিধান করে বাড়ী চলে আসে।
এলাকায় এসে গ্রামের নিরীহ মানুষের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী সহ বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে হয়রানী করে। এলাকাবাসীর পক্ষ হতে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বরং দিনদিন তার অত্যাচারের মাত্রা চরম সীমায় পৌছে। উক্ত পুলিশ কনস্টেবল নিজ মেয়ে লিমাকে লুকিয়ে রেখে প্রতিবেশী ওবায়দুল করিম সোহাগ ও ফিরোজা বেগমকে আসামী করে নান্দাইল মডেল থানায় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে বাদী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং ১৫(১০)০৮ দায়ের করার পর মামলার স্বাড়্গ্য প্রমানাদি না থাকায় থানা পুলিশ মামলারটির চূড়ান্ত রির্পোট দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত চূড়ানত্ম রির্পোট টি গ্রহন করে বাদী ও তার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল লিয়াকত আলীর বিরম্নদ্ধে ১৭ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন। গৃহিত ব্যবস্থার বিরম্নদ্ধে বাদী মনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মাননীয় হাইকোটে স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল করেন। বিজ্ঞ আদালত ২ মাসের স’গিতাদেশ দিয়ে মামলাটি সংশিস্নষ্ট ট্রাইবুন্যালে বিচার কার্যচালানোর নির্দেশ প্রদান করেন। এ আদেশের বিরম্নদ্ধে মহামান্য আপীল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন (নং-৮২০/২০১২) যা এখন শুনানীর অপেক্ষায়।
এদিকে তসরা গ্রামের লিয়াকত আলীর প্রতিবেশী মোঃ মোসত্মফিজুর রহমান বাবুলের বাড়ীতে (২২.০৮.১৪) দুপুর আনুমানিক ২.১৫ মিঃ পুলিশ কনস্টেবল লিয়াকতের নেতৃত্বে অপরাপর আরো ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন বসত বাড়ীতে অর্তকিতে বাড়ীতে ঢুকে হামলা চালিয়ে বাবুলের স্ত্রী শরীফা বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এতে সে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম হয়। আহত অবস্থায় শরীফা বেগমকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা আশংকাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামী করে বিজ্ঞ ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালতে মোঃ-নং ৬৩৩/২০১৪ দায়ের করা হলে বিজ্ঞ আদালত নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে আইনগত ব্যবস’া গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশের পরিপ্রেড়্গিতে মামলাটি নান্দাইল থানার মামলা নং-০৫(১০)১৪ ইং রম্নজু হয়।
গত ১০ মে/১৫ মামলার আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে হাজির হলে আদালত আসামী পুলিশ কনস্টেবল লিয়াকত আলীর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করে। ইতিমধ্যে নান্দাইল থানা পুলিশ মামলার সকল আসামীর বিরম্নদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।#

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ | মে ২২, ২০১৫