| রাত ৮:৪৬ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আবাহনীকে হারিয়ে মোহামেডানের জয়

অনলাইন ডেস্ক ,২১ মে ২০১৫, বৃহস্পতিবার:

ক্ষণিকের জন্য হলেও আশির দশকের সেই উত্তেজনা ফিরে এসেছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজানোর অন্তিম মুহূর্তে ঝিমিয়ে পরা ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ান মোহামেডানের তরুণ মিডফিল্ডর মোহাম্মদ ইব্রাহিম। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতে তখন বাকি মাত্র এক মিনিট। ঠিক ওই মুহূর্তে আবাহনীকে কাঁদিয়ে মর্যাদার লড়াইয়ে কক্সবাজারের এই তরুণের কল্যাণে দারুণ এক জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাদা-কালো শিবির। অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় দলে খেলা এ মিডফিল্ডার প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ওবাম হেনরির ভুলে বল পেয়েই গোল আদায় করে নেন। এ জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানটি অক্ষুণ্ন রেখেই প্রথম পর্ব শেষ করলো ক্লাবপাড়ার দলটি। আর দশ ম্যাচ শেষে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকলো আবাহনী। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পেশাদার লীগের শিরোপার অন্যতম দাবিদার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
গতকাল ম্যাচের শুরুতে পাসিং ফুটবল খেলতে ব্যর্থ হয় মোহামেডান। তাদের তুলনায় বেশ গোছালোই মনে হচ্ছিল আবাহনীকে। এ কারণে প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি গোলে সুযোগ তৈরি করে আকাশী হলুদ শিবির। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলে দেখা পায়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ওয়াহেদকে উঠিয়ে সজীবকে নামিয়ে চেষ্টা করেছেন কোটান। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে জসিমউদ্দিন জোসির তরুণ মোহামেডান পেয়ে বসে আবাহনীকে। জুয়েল রানা, সজীবের কল্যাণেও সুযোগও পায় সাদা-কালো শিবির। ৫৭ মিনিটে জুয়েল রানার শট গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান বাইরে বের হয়ে প্রতিহত করেন। ওপেন নেটে শট নিয়েছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু মোহামেডানকে হতাশ করে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দেন সামাদ ইউসুফ। এ অর্ধে দারুণ জমে উঠে ম্যাচ। ৬৭ মিনিটে মোহামেডানের মিডফিল্ডার জুয়েল রানা দারুণ এক সুযোগ রচনা করেছিলেন। মধ্যমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় আবাহনীর চার ফুটবলারকে দারুণভাবে কাটিয়ে বক্সে প্রবেশ করেন। কিন্তু তার শটটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮১ মিনিটে মানিকের ফ্রি কিক সামাদ ইউসুফ ফিরিয়ে দিলেও আবাহনীর ডিফেন্ডার মামুন মিয়া বল বাঁ-হাত দিয়ে বাইরে ঠেলে দেন। মোহামেডানের ফুটবলাররা এ সময় রেফারি জসিমউদ্দিনের কাছে পেনাল্টির আবেদন জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি। রেফারির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সাদা-কালো শিবিরের সমর্থকরা। ম্যাচের শেষ মিনিটে জমে উঠে নাটক। অনিশ্চয়তার খেলা ফুটবল আরও একবার প্রমাণিত হলো মর্যাদার এ লড়াইয়ে। নিজেদের সীমানায় পাওয়া ফ্রি কিক নেন মোহামেডানের গোলরক্ষক রানা। বল পেয়ে যান আবাহনীর নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার ওবাম হেনরি। বল ক্লিয়ার করলেও আনমার্ক ইব্রাহিমের পায়ের সামনে পড়ে বল। বল পেয়ে কোন ভুল করেননি। সরাসরি প্রবেশ করেন আবাহনীর সীমানায়। দারুণ এক শটে বল জালে জড়িয়ে উৎসবে মাতিয়ে তুলেন সাদা-কালো সমর্থকদের (১-০)। অথচ ম্যাচে প্রথম গোলটি পাওয়ার কথা ছিল আবাহনীর। ৪৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ওসাই মরিসনের দূরপাল্লার দুর্দান্ত এক শট মোহামেডানের গোলরক্ষক রানার চোখ ফাঁকি দিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ক্রস পোস্টে লেগে বল ফিরে এলে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় আবাহনী। এর আগেও বেশকিছু আক্রমণ শানায় আবাহনী। শুরুটা হয় ম্যাচের ১৬ মিনিট। দলের ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড মরিসনের শট মোহামেডানের গোলরক্ষক আশরাফুল রানা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ফিরতি বলে আবারো শট নিয়েছিলেন ওয়াহেদ। এবার দারুণ দক্ষতার সঙ্গে সে বল প্রতিহত করে সাদা-কালোদের বাঁচিয়ে দেন এ গোলরক্ষক। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল আবাহনী। কিন্তু সে যাত্রায় দলকে হতাশ করেন ওয়াহেদ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ | মে ২১, ২০১৫