| সকাল ৭:৪৭ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মিঠামইনে ইউপি ভবনসহ ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝুকিপূর্ণ, খোলা মাঠে পাঠদান

 

বাজিতপুর সংবাদাদতাঃ-২০ মে ২০১৫, বুধবার,

মিঠামইন উপজেলা গোপদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের অতিসম্প্রতি ভূমি কম্পে অন্তত: ১০টি পিলারে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। মুলভবনের পূর্ব অংশে কিঞ্চিত পরিমান নিচের ভিত্তি সরে যেতে দেখা গেছে। দ্বিতল ভবনের উপরের দরজা জানালা ভেঙ্গে চৌচির। প্রায় ১ বছর যাবৎ চেয়ারম্যান এই কমপ্লেক্স আসে না বলে স’ানীয়রা জানান। পরিষদের সচিব মাঝে মাঝে আসলেও পরিষদের কোন কার্যক্রম এখানে কার্যত প্রায় অচল। চেয়ারম্যান নুরুল হক বাচ্চুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তিনি একটি মামলা সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা থাকায় পরিষদের খোঁজ খবর নেয়নি বলে স’ানীয়রা জানান। ১নং প্যানেল চেয়রম্যার ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন জানান, এ পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে অযত্নে অবহেলায় ভবনে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। প্রায় ২ বছর যাবৎ পরিষদের কোন কার্যক্রম নেই। ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবন উপজেলা প্রশাসনের প্রকৌশলীগণ পরিদর্শন করেছেন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে ভবন মেরামতের দাবী জানান। উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্বিতল ভবন ও নিচের পিলারে ১২টি ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এছাড়াও চর কাটখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাইলদিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহেব নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে অধিকাংশ বিদ্যালয়ের মাঠে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। এসকল ভবন ফাঁটলের পর থেকেই পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা ও স্কুল মাঠে ছাত্রছাত্রীদের পরিক্ষাসহ পাঠদান কার্যক্রম চলছে। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানসহ কার্যালয়ে অন্যান্য কর্মকর্তাগণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করেন। এবং আপাতত অন্যকোন স্থানে পাঠদান কার্যক্রম চালানোর কথা বলেন। ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বাচ্চু জানান, ভূমিকম্প হওয়ার দিন থেকে এ ভবনে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াশুনা সমস্যা হচ্ছে। আমরা স’ানীয় ভাবে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছি। চমকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদ মিয়া জানান, বর্তমানে ছাত্র/ছাত্রীরা ভয়ে বিদ্যালয়ের ভবনে আসছে না। পার্শ্ববর্তী একটিপরিত্যাক্ত টিনের ঘরে আংশিক পড়াশুনা করানো হচ্ছে। এছাড়াও খোলা মাটে, গাছতলায় ছাত্র/ছাত্রীদের ক্লাস করতে হচ্ছে। জরম্নরী ভিত্তিতে ভবন সংস্কার প্রয়োজন। অন্যদিকে এ বিদ্যালয়ে ওয়াশ রুম নেই। নেই টয়লেটের ব্যবস’া। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:১৮ অপরাহ্ণ | মে ২০, ২০১৫