| সকাল ৭:০০ - সোমবার - ২২শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

এম.পি হান্নানের বিরম্নদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর মামলা, প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ

ত্রিশাল ব্যুরো অফিস:  ময়মনসিংহ ৭ ত্রিশাল আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব এম.এ হান্নানের বিরম্নদ্বে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন মামলা দায়েরের কয়েক ঘন্টা পরই মুক্তিযোদ্ধারা ত্রিশালে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এতে যোগ দেয় জাতীয় পাটি ও তার অঙ্গসংগঠন।
স’ানীয় সূত্রে জানাযায়, সন্ধ্যায় ত্রিশালের দরিরামপুর বাসট্যান্ড মোড়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ত্রিশাল উপজেলা মুক্তিযোদ্বা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ আইয়ুব আলী, সহকারী কমান্ডার মজিবুর রহমান, ত্রিশাল উপজেলা হিন্দু বৌদ্ব খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা গৌরাঙ্গ রায়, মুক্তিযোদ্বা স্মৃতিসৌধের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা গাজী রজব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল আহমেদ প্রমুখ। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুরম্নজ আলী মন্ডল, সাবেক সভাপতি এড.আব্দুল বারী, আব্দুল মজিদ, আব্দুর রউফ, সাধারন সম্পাদক গোলাম সারোয়ার তপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম মহিদ, উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি আমিনুল হক সোহেল, সাধারন সম্পাদক বিপস্নব হাসান, পৌর যুব সংহতির সভাপতি মালেক চান দেওয়ান, উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন অনিক, সাধারন সম্পাদক আবু লায়েস প্রমুখ।মামলার বাদী মোছাঃ রহিমা খাতুন জানান, ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মুন্সী পাড়া গ্রামের পিতা- মৃত ওসমান আলী মন্ডলের পূত্র মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানকে বিগত ০৯/০৮/১৯৭১ সালের অনুমান বিকেল ৪টায় এম. এ হান্নানের সহযোগী রাজাকারদের সহযোগিতায় গৌরীপুরের ভাংনামারীর চর থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টর্চার সেলে প্রকাশ্যে দিবালোকে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের দুই চোখ উপড়ে ফেলে। আসামী এম. এ হান্নান ডান হাত ভেঙ্গে দিয়ে নিজে গুলি করে আব্দুর রহমানকে হত্যা করে। এ ছাড়া অন্য রাজাকারগণ আব্দুর রহমানের বাড়িঘর লুটতরাজ ও ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করে।তবে ত্রিশাল উপজেলা হিন্দু বৌদ্ব খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা গৌরাঙ্গ রায় বলেন, নিজেদের কোন্দলে তারই সঙ্গী কুখ্যাত হেলু ডাকাত ধরে নিয়ে ময়মনসিংহ ব্রড়্গপুত্র নদীর চড়ে মুক্তিযোদ্বা আব্দুর রহমানকে হত্যা করে। এই ঘটনার সাথে সাংসদ হান্নানের কোন যোগসূত্র নাই। তাকে হয়রানী করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে বলে ও তিনি উলেস্নখ করেন। ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান বলেন, সত্য পথের যাত্রীকে বাধাগ্রস’ ও প্রতিহত করার জন্য একটি কুচুক্রি মহল ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ত্রিশাল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এর কমান্ডার নাজিম উদ্দিন জানান, মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছে এ কথা সত্য এবং এম এ হান্নান ত্রিশালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন ড়্গতি করেননি।মামলার প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব এম. এ হান্নান এমপি বলেন, মামলার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ঘটনা সত্য হলে বিগত ৪৩ বছরে কেন অভিযোগ উত্থাপন হয়নি। এম. এ হান্নান আরো বলেন, একটি চক্র বিগত নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তাকে নানাভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। পরাজিত ওই গ্রম্নপটির প্ররোচনায় হয়তো এটি হয়ে থাকতে পারে।উলেস্নখ্য, ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের শহীদ মুক্তিযোদ্বা আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এমএ হান্নানের নামে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:২৫ অপরাহ্ণ | মে ১৯, ২০১৫