| দুপুর ২:৩০ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কাল ফারুক সভাপতি ও রেজনুকে সাধারণ সম্পাদক দেখতে চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা

 

জামালপুর প্রতিনিধি: ১৯ মে ২০১৫, মঙ্গলবার:

কাল ২০ মে বুধবার  একযুগ পর  জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল হচ্ছে। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী পরিবারে চলছে সাজ সাজ রব। ডিজিটাল ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জেলা শহর। সম্পন্ন হয়েছে সম্মেলনের সকল প্রস্ততি। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছে।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও তোরণে ছেয়ে গেছে জেলা শহর। রাতদিন চলছে মাইকিং। অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী দিনে জামালপুরের আওয়ামী রাজনীতির শীর্ষ পদে কারা দায়িত্ব পাচ্ছেন এই প্রশ্ন এখন সর্বমহলে। প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন- এই সম্মেলন নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরীকে সভাপতি এবং বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক এফবিসিসিআই এর পরিচালক ও দি জামালপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রেজাউল করিম রেজনুকে ষাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়। আওয়ামী রাজনীতিতে দুইজনের কেউই কারোর চেয়ে কম নয়। দুইজনেরই রয়েছে দলের জন্য ব্যাপক অবদান।
কাউন্সিলরদের মতে, আওয়ামী রাজনীতিতে এই দুইজনকেই রয়েছে প্রয়োজন। বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজনু ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার সময় থেকেই জামালপুরে ছাত্রলীগ চাঙ্গা হয়। এ ছাড়াও তিনি কর্মী বান্ধন নেতা। তিনি দলের সকল কর্মসূচিতে শ্রম ও অর্থ দুটোই ব্যয় করেন নিঃস্বার্থভাবে। আওয়ামী রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি পিতার রেখে যাওয়া কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন। কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ লিখে দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয় করে দিয়েছেন শহরের প্রাণ কেন্দ্রে। যেটি বিগত দিনে দলের টিকেট নিয়ে হওয়া এমপি-মন্ত্রীরাও করতে সাহস পাননি। সবকিছু বিবেচনা করলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রেজনুর বিকল্প নেই।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। প্রধান বক্তা থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
দলীয় সূত্র জানায়, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে সম্মেলন শেষে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন। ২৭৩ জন কাউন্সিলর আগামী ৩ বছরের জন্য নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে জামালপুরের আওয়ামী পরিবার নতুন মাত্রায় যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। সফল, সুষ্ঠ ও সার্থক সম্মেলনের মাধ্যমে নবগঠিত নেতৃত্ব ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের পদযাত্রায় অংশ নিয়ে দলকে আরো সমৃদ্ধ করবে এটাই আওয়ামী পরিবারের প্রত্যাশা।#

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৩০ অপরাহ্ণ | মে ১৯, ২০১৫