| সকাল ৯:১২ - শনিবার - ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনের এমপি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব এম এ হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার, ১৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার,

ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশালের আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব এম এ হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আন-র্র্জাতিক যুদ্ধাপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ধারায় ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবীব এর ১ম আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৩৯৮/২০১৫ তারিখ ১৯-০৫-১৫ ইং। ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মুন্সী পাড়া গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য আন-র্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরনের জন্য আদেশ দেন। মামলার আসামী ৩জন হচ্ছেন, ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশালের আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শহরের নতুন বাজারস’ মৃত আবদুল খালেকের পুত্র আলহাজ্ব এম এ হান্নান (৭০), শহরের ৩নং কলেজ রোড এলাকার ফখরুজাজামান (৬৪) ও সদরের গলগন্ডার এলাকার ফয়জুর রহমানের পুত্র গোলাম রব্বানী (৬৮)।
মামলায় উল্লেখ করেন, বাদীর স্বামী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ রহমান পিতা, মৃত ওসমান আলী মন্ডল সাং- বৈলর মুন্সীপাড়া, থানা-ত্রিশাল, ময়মনসিংহ, তার স্বামীকে আঃ রহমানকে ১ নং আসামী আঃ হান্নান তার সহযোগী রাজাকার বাহিনীর মাধ্যমে গৌরীপুর উপজেলার ভাঙ্গনামারি চর হতে ১৯৭১ সালের ৯ আগস্ট ধরে এনে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় টর্চার সেলে প্রকাশ্যে দিবালোকে দুই চোখ উপড়ে ফেলে ডান হাত ভেঙ্গে দিয়ে আসামী এম এ হান্নান নিজে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া তার স্বামী আঃ রহমানের ত্রিশালের বাড়ি লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।্‌ ১৯৭১ সালে এম এ হান্নান পাকিস-ান হানাদার বাহিনীর সক্রিয় সহায়তা করতে ময়মনসিংহ শানি- কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অপর দুই আসামী আলবদর বাহিনীর সশস্ত্র সদস্য ছিলেন। মামলায় আরো একাধিক হত্যাকান্ডসহ নারী নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাদী পক্ষে এড, পীযুষ কানি- সরকার, এড মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, এড নুরুজ্জামান খোকন ও শফিকুল ইসলাম মামলা পরিচালনা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ | মে ১৯, ২০১৫