| সকাল ৬:০৯ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কবি নজরম্নল বিশ্ববিদ্যালয় বৃক্ষ বিধন ও জলভূমি ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও

এইচ.এম জোবায়ের হোসাইন, ১৮ মে ২০১৫, সোমবার: 
ময়মনসিংহের ত্রিশালে  জাতীয় কবি কাজী নজরম্নল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বৃক্ষ নিধন ও নির্বিচারে জলভূমি ভরাটের প্রতিবাদে আজ  সোমবার মানববন্ধন ও প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রীন ক্যাম্পাস নামের সংগঠন। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম তাদের সাত্মনা দেন।
জানাযায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে নতুন হল নির্মাণের প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সড়কের পাশ থেকে বেশ কিছু বৃক্ষ নিধন করা হয়। এ ঘটনা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ আর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। গ্রীণ ক্যাম্পাস সংগঠনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে বিক্ষােভ মিছিল, মানববন্ধন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে। এ সময় পরিসি’তি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম প্রশাসনিক ভবন থেকে নেমে এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, একটি গাছের পরিবর্তে ক্যাম্পাসে এক হাজার চারা গাছ রূপন করা হবে এবং এর প্রতীকী হিসেবে তিনি তাৎক্ষনিক ৫টি বৃক্ষ রূপণ করেন।
গ্রীণ ক্যাম্পাস সংগঠনের সভাপতি রেজুয়ান আহমেদ শুভ জানান, ক্যাম্পাসে যে পরিমান বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে তা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়কে হুমকির সম্মুখীন হতে হবে। তাই বৃড়্গ নিধন নয়, বৃড়্গ রূপনের মাধ্যমে ক্যাম্পাস সবুজ অরণ্য করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক সঞ্জয় কুমার মুখার্জী জানান, বৃক্ষ যদি অপরিকল্পিত ভাবে কাটা হয় তবে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। বৃক্ষ হল ক্যাম্পসের প্রাণ, আর সেই বৃক্ষ নিধন খুবই হতাশাজনক।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইচ্ছেকৃত ভাবে বৃক্ষ নিধন করা হয়নি, নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনেই বৃক্ষগুলো কাটা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তা করা হয়। যা অচিরেই ঘাটতি পোষাতে নতুন বৃক্ষ রোপনের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৫১ অপরাহ্ণ | মে ১৮, ২০১৫