কত বয়স হলে হাছেনা বয়স্ক ভাতা পাবেন
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ঃ, ১৮ মে ২০১৫, সোমবার:
বয়সের ভারে নুজ্জু এখন আর চলতে পারেন না আজীবন দুঃখী হাছেনা (৭৮)। হাতে লাঠি আর একটি ব্যাগে ভরা তার পুরো সংসারের জিনিসপত্র। তারপরও পেটের তাগিদে ভিক্ষা করতে হয় দুটো চালের জন্য। আজ সোমবার) ভিক্ষা করতে এসে হাঁটতে না পেরে এক সময় বসেই পড়েন নান্দাইল পুরান বাজারের এক বাসার সামনে চিকনের মা ওরফে হাছেনা (৭৮)। ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌর এলাকার আচারগাঁও পুলের পাড় আবুর বাড়িতে মাথা গোঁজার ঠাই করে নিয়েছেন তিনি। ছোট বেলায় মা-বাবা হারান হাছেনা মানুষের বাড়িতে কাজ করেই দিন কাটছিল তার। আচারগাঁও এর দিন মজুর আবদুর রশিদের সাথে বিয়ে হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বছরে মারা যান তার স্বামী। আড়াই বছরের একটি ছেলেও মারা যায় সে সময়। এর পর থেকে মানুষের বাড়িতে ঝিগিরি করে কাটিয়েছেন। বয়স বেড়ে যাওয়ায় কাজকর্ম আর করতে পারেন না। তখন থেকে শুধু ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সারাজীবন একা একা পথ চলা। এ বয়সেও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ভিক্ষা করতে বের হন তিনি।
এ সংবাদদাতা কোন সরকারী (ভাতার) কার্ড পেয়েছেন কিনা ? এমন জিজ্ঞাসা করলে চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি বের হয় তার বলে উঠেন, আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবো? বাবারে একটা কার্ড যদি পাইতাম তাইলে কি এই বয়সে এত কَ করণ লাগে? জানডা আর চলে না, রথ বইয়া গেছে না? তিনি জানান অনেকের কাছে কার্ড চেয়েছেন কিন্তু’ কার্ড নিতে নাকি টাকা লাগে তাই আশা ছেড়ে দিয়েছেন।
ছবি তোলার সময় কেঁদে কেঁদে বলতে থাকেন আসলেই আল্লাহ কি একটা মাইনস্যের জীবনে এত কষ্ট দেয়? জামাই নাই, ছেড়াছেড়ি (ছেলেমেয়ে) নাই কেউ নাই আমার সারাডা জীবন খালি কষ্ট করলাম।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার গোলাম আহম্মেদ খান রূপক কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান এখন আর কার্ড দেয়ার সুযোগ নেই কার্ডধারী কেউ মারা গেলে সে সময় তার কার্ডের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। #