| বিকাল ৪:১৩ - রবিবার - ১৪ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১লা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৪ঠা শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গফরগাঁওয়ে ঝড় ও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার শিক্ষার্থী আতঙ্কে

আজহারুল হক, গফরগাঁও ঃ ১৬ মে ২০১৫, শনিবার,
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সামপ্রতিক কালবৈশাখী ঝড় ও কয়েক দফা ভূমিকম্পে ১১টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রসত্ম হয়। এসব বিদ্যালয়ের ভবন ঝুকিপূর্ন থাকায় প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অধিক ঝুকিপূর্ন হওয়ায় উপজেলার ডিগ্রীভূমি ,দুগাছিয়া, দুগাছিয়া, ধামাইল, চরমছলন্দ কান্দাপাড়া, দুবাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ২০১৩ সালে পরিত্যক্ত ঘোষনা করে মাঠে বা গাছতলায় ক্লাশ নেওয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন’ বাধ্য হয়ে ওইসব বিদ্যালয় ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস চালাচ্ছেন শিক্ষকরা।
অপরদিকে গত ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দফা কালবৈশাখী ঝড় ও তিন দফা ভূমিকম্পে উপজেলার দাওয়াদাইর উত্তর পাড়া, পোড়াবাড়ীয়া, চরশাখচূড়া, বাগুয়া, কালদাইর, পাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়ধরখালী, পাচুঁয়া (জব্বারনগর) বেগম রাবেয়া ও টাঙ্গাব আবুল হাসেম খান উচ্চ বিদ্যালয় ভবন ক্ষতিগ্রসত্ম হওয়ার পাশাপাশি একাধিকস্থানে ফাটল দেখা দেয়। এ অবস্থায় ওই বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৩ হাজার কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ভয়-আতংকের মধ্যেই ক্লাস করছে। ভয়-আতংকে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে গেছে।
দুগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল্লাহ বলেন, স’ানীয় শিক্ষা অফিস আমার বিদ্যালয় ভবন ঝুকিপূর্ন থাকায় গত ২০১২সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এতদিন পরিত্যক্ত ভবনেই ক্লাশ চালাতে হয়েছে। সামপ্রতিক ভূমিকম্পে বারান্দার পিলারসহ ভবনের কয়েক জায়গায় আবারো ফাটল দেখা দেয় এবং হেলে পড়ে। এখন খোলা মাঠের দু’তিন জায়গায় ক্লাশ চালাতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ছুটি ছাড়াই ক্লাশ বন্ধ রাখতে হয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঝড় ও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রসত্ম বিদ্যালয় গুলোর তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যনত্ম সংস্কারের কোন বরাদ্দ পায়নি। সরকারি বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:১১ অপরাহ্ণ | মে ১৬, ২০১৫