ময়মনসিংহের ৪ যুবক মানবপাচারকারীর কবলে পড়ে ভারতের মুম্বাই জেলে বন্দি
সিরাজুল হক সরকার: ময়মনসিংহের ৪ যুবককে অধিক বেতনের লোভ দেখিয়ে মানবপাচারকারীরা মুম্বাই নেওয়ার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের আধারবাড়ী জেল খানায় বন্দি জীবনযাপন করছে। জানা যায়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পলশা গ্রামের আব্দুস ছালামের পুত্র আব্দুল কাইয়ুম (২২), হযরত আলীর পুত্র আমিরুল (২৩), কাউছার আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী (২৫) এবং ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কান্দানিয়া গ্রামের আব্দুস ছালামের পুত্র সোলায়মান (২৫) ঢাকা ইপিজেড-এ একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করত। ইতিমধ্যে তাদের সাথে পরিচয় হয় বরিশালের মানব পাচারকারী দলের দালাল জনৈক সোহাদেবের সাথে। সোহাদেব তাদের কাছ থেকে অধিক বেতনের চাকুরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিনা পাসপোর্টে বেনাপোল সীমান- দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। তাদেরকে মুম্বাইয়ের মানপাড়া থানার সোনারপাড়া গ্রামে গুরু সেন ও বিজয় সেনের মালিকানাধীন Domvuly East (MIDC), Industrial Area, W/65, Mumbai নামক প্রতিষ্ঠানে সোয়েটার কোম্পানীতে চাকুরি দেন। দুই মাস চাকুরী করার পর একদিন বিকালে পুলিশ তাদের কর্মস’লে হানা দেয়। গ্রেফতার করে এই ৪ যুবককে। পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে আধারবাড়ী জেল খানায় প্রেরণ করে। দীর্ঘ ৭/৮ মাস যাবত তাদের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে পরিবার পরিজন উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করতে থাকে। পলশা গ্রামের ইসমাইল নামের আরেক যুবক অন্য কোম্পানীতে চাকরি করত, তার মাধ্যমেই তাদের জেলে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। সূত্রে জানা যায়, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ অঞ্চলের আরো ২০’র অধিক যুবক দালাল মারফত প্রতারিত হয়ে চাকুরির খুঁজে মুম্বাই গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বিভিন্ন জেলখানায় বন্দি জীবন যাপন করছে। অনেক পরিবার পরিজনরাই জানে না তাদের জেল খানার অবস’ান। এদিকে তাদের পরিবার পরিজন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি ভারতের জেল খানায় বন্দি থাকায় তাদের সংসারে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। অনাহারে অর্ধাহারে চলছে তাদের সংসার। এ ব্যাপারে সরকারের মাধ্যমে এই যুবকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্যে সরকারের প্রতি সহযোগিতা কামনা করেছে উক্ত ৪ যুবকের অসহায় পরিবার পরিজনরা। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাস সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।