রমজানের আগেই সৌদি আরবে ২০ হাজার শ্রমিক পাঠাবে সরকার

অনলাইন ডেস্ক | ১৪ মে ২০১৫, বৃহস্পতিবার,
আসন্ন রমজানের আগেই সৌদি আরবে ২০ হাজার শ্রমিক পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, রমজানের আগেই ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার শ্রমিক চাচ্ছে সৌদি আরব। তবে এই সময়ের মধ্যে এতগুলো না পাঠাতে পারলেও ২০ হাজার নারী শ্রমিক পাঠানোর টার্গেট হাতে নিয়েছি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সফররত সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আহমেদ আলফাহিদসহ ৭ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি আরবের শ্রম বাজার খুলেছে। পরবর্তীতে দেশটির সঙ্গে চুক্তির আলোকে বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ নারী শ্রমিক নেয়ার কথা জানায় তারা। কিন্তু এ পর্যন্ত তাদের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক পাঠাতে পারি নাই। তবে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার নারী শ্রমিক নেয়ার সব রকম প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে তারা। তাই তারা রমজানের আগেই ৩০ থেকে ৫০ হাজার গৃহকর্মী নিতে চায়। তবে আমাদের প্রস্তুতি ও পর্যাপ্ত নারী শ্রমিক না থাকায় ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক পাঠানো সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) সৌদি আরবের মন্ত্রী মহোদয় এসেছিলেন এই বিষয়টা আলোচনা করার জন্য। আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। ওরা বলছে সামনে রমজানের আগে যত শ্রমিক পাঠাতে পারবো, তারা ততই নেবেন। ইতোমধ্যে তারা ৩০ হাজার ভিসা প্রস্তুত করেছেন। প্রতিটি নারী শ্রমিক বিনা খরচে সৌদি আরবে যেতে পারবেন। সেখানে প্রতিমাসে সর্বনিম্ন ৮শ’ রিয়াল তাদের বেতন হিসাবে থাকবে। তবে এর বেশিও বেতন হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ১০ রিক্রুইটিং এজেন্সি আছে। রিক্রুইটিং এজেন্সিগুলোকে ডেকে তাদেরকে প্রতি জেলাতে একটি করে গ্রুপ করতে বলা হয়েছে। সেখানে তারা গিয়ে অন্তত ২০০ নারী কর্মীর তালিকা করবেন। তাদের সবাইকে ২০০ নারীকর্মী পাঠানোর টার্গেট দিয়েছি। তারা যদি এর উপরেও পাঠাতে পারে পাঠাবে। এতে মনে হচ্ছে আমরা সামনে রমজানের মধ্যে ২০ হাজার নারীকর্মী পাঠাতে পারবো। তবে ইচ্ছা করলে এর বেশিও পাঠাতে পারবো।’
বর্তমানে অবৈধভাবে বিদেশে লোক পাঁচার হওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আমরা হলাম বৈধ অভিবাসনে প্রক্রিয়ার কাজে নিয়োজিত, অবৈধ অভিবাসন নিয়ে আমরা কাজ করি না। তাই এই বিষয়টি আমাদের মধ্যে পড়ে না। এখানে আমাদের জড়িত হওয়াও ঠিক হবে না। অবৈধ অভিবাসন বিষয়টা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় দেখবে। তবে এ ব্যাপারে আমাদের আন্তঃমন্ত্রণালয় মধ্যেও যোগাযোগ রয়েছে।’ এর আগেও এরকম নৌকাই চরে লোকজন চলে বিদেশে গেছে, এখনও যাচ্ছে। আর এটার নিয়ন্ত্রণ স্বরাষ্ট্র ও পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করবে বলে উল্লেখ করেন এই প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
সৌদি আরবের ওই প্রতিনিধি দলের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- শ্রম মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক এইচ আর এইচ প্রিন্স সৌদ বিন তালাল, মহাপরিচালক মোহাম্মদ আল শারেখ, পরিচালক মেশাল আল রুদিন,পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ফয়সাল আল হাসান, স্থানীয় তাকামুল কোম্পানির সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার আহমেদ আলামগীর এবং প্রোগ্রামার আল সুলাইম আব্দুল আজিজ আহমেদ।