| সকাল ৮:৪৪ - শনিবার - ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ডাটা সেন্টারের সূচনা বাংলাদেশে

বাংলাদেশে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ডাটা সেন্টারের শুভ সূচনা হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেডটিই কনসোর্টিয়াম ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে টিয়ার ফোর সার্টিফায়েড ডেটা সেন্টার স্থাপনের জন্য বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান কালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতে তথ্য সংরক্ষেণের জন্য আরো বড় পরিসরে আমাদের ডেটা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। পাশাপশি আমাদের ডেটার নিরাপত্তাও একটি বড় ইস্যু যা ভবিষ্যতে আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। তাই, ডিজিটাল বাংলাদেশর কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখতে এবং আমাদের তথ্যের সুরক্ষার জন্য এই ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।”

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার। এছাড়াও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক জনাব এস এম আশরাফুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব মো: হারুনুর রশিদ, তথ্য ও যগোযোগযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মো: জসিম উদ্দিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম-সচিব মঞ্জুর কাদের, ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারের পরিচালক তারেক বরকতউল্লাহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপ-সচিব জিল্লুর রহীম শাহ্রিয়ার, জেডটিই কর্পোরেশনের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট জনাব সাবিন শ্রেষ্ঠা, জেডটিই হোল্ডিংসের ফাইনেন্স ম্যানেজার শিয়াও জুয়ান, জেডটিই কর্পোরেশনের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক টিয়ান জুংজিয়ান, জেডটিই কর্পোরেশন বাংলাদেশ অফিসের পরিচালক ফিরোজ ইফতেখারসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাই-টেক পার্ক প্রাঙ্গণে ১৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বাস্তবায়িত হবে টিয়ার ফোর সার্টিফায়েড ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার। বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম এই ডেটা সেন্টারে চায়নিজ এক্সিম ব্যাংকের ১৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

ডাটা সেন্টার গড়ে তোলার জন্য মাঠ পর্যায়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ন্যাশনাল ডাটা সেটার গড়ে তোলার জন্য কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক সংলগ্ন প্রায় ২০ একর জমি চিহ্নিত করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে (বিসিসি) চাহিদার নিরিখে প্রথম ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা হয়। টায়ার-টু এর আওতায় এই ডাটা সেন্টারে র‌্যাক রয়েছে ৬৭টি। নতুন করে কালিয়াকৈরে যে ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা হবে সেটি হবে টায়ার-ফোর এর আওতায়। বিশালাকার এই ডাটা সেন্টারের র‌্যাকের সংখ্যা হবে ৬ শতাধিক।

টায়ার-ফোর‘র জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলকায় ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবাসন সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা থাকার নিয়ম রয়েছে। এ ব্যাপারে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যে আয়তনে এই ডাটা সেন্টার গড়ে উঠছে, নির্মাণ কাজ শেষ হলে তা হবে বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম। তিনি বলেন, হাইটেক পার্কের যে বর্ধিত জায়গা রয়েছে (হাইটেক পার্কে আগে ছিল ২৩২ একর জায়গা। পরে যুক্ত হয়েছে আরও ৯৭ একর) সেই জায়গার প্রায় ২০ একর ডাটা সেন্টারের জন্য চূড়ান্ত করেছি আমরা।

প্রসঙ্গত, এ লক্ষ্যে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম ‘জেডটিই হোল্ডিং কোম্পানি লিমিটেড’ ও ‘জেডটিই করপোরেশন’-এর সঙ্গে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চূড়ান্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের একটি প্রস্তাব গত ১১ মার্চ মাসে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আগামী জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৮ অর্থবছরে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:২০ অপরাহ্ণ | মে ১১, ২০১৫