রংপুরে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা
রংপুর ব্যুরো : রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রথম খবরের সিটি রিপোর্টার রবিউল ইসলাম রোমানকে(৩০) রোববার রাতে অটো থেকে নামিয়ে ব্যপক মারধোর করে তা মোবাইল ফোন ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় একজন কাউন্সিলরের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রংপুরের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
আহত সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রোমান জানান, রোববার রাতে অফিস থেকে বুড়িরহাটে বাড়ি ফেরার পথে কদমতলীতে স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুল হকের সামনে স্থানীয় গাজা ব্যবসায়ী গোলাপ, জহরুল ও নয়নসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমাকে অটো থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে রড, হকিস্টিক ক্রিচ দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপাতে থাকে। এসময় তারা বলে তোর এত সাহস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে খবর লিখিস। এক পর্যায়ে তারা আমাকে হত্যার জন্য পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে যেতে থাকলে পথচারীরা তাদের বাঁধা দেয়। এসময় তারা আমাকে আজ বেঁচে গেলি, তোর মরণ আছে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে সেখান থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করে।
আহত সাংবাদিক রোমান বর্তমানে হাসাপাতালের চতুর্থ তলার ১৫ নং সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত সাংবাদিক আরও জানান, বাড়ি যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে অটো ওঠার পর রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকের সামনে কাউন্সিলর ফজলু তার মোটরসাইকেলের আলো আমার ওপর বেশ কিছুক্ষণ স্থির করে রাখে। এসময় আরও একজন অচেনা যুবক অটোতে ওঠে। পরবর্তীতে সেসহ কাউন্সিলরের বাড়ির আশেপাশের সন্ত্রাসীরা আমাকে অটো থেকে নামিয়ে মারধোর করে। এসময় তারা আমার পরিচয় পত্র এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। রোমান আরও জানান, কাউন্সিলর ফজলুর বিরুদ্ধে বুড়িরহাটের শফিকুল ইসলাম হত্যাকান্ড, নারী ঘটিত এবং বুড়িরহাট স্কুলে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তিনি ও তার লোকজন আমাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন।
এ ব্যপারে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনর্চাজ আবদুল কাদের জিলানী জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
নিন্দা ও প্রতিবাদ: এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রংপুরের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মাসুদ উর রহমান মিলু, সেক্রেটারী মোজাফফর হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সেক্রেটারী মাজহারুল মান্নান, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রবিউল হোসেন সরকার বাবলু সাংবাদিক রোমানের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও সকল সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।