| সকাল ১১:৫২ - শুক্রবার - ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মিঠামইনে ৩ খুনের ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষের প্রস্তুতি: এলাকায় অস্ত্রের মহড়া

 

বাজিতপুর সংবাদদাতা ঃ
মিঠামইন উপজেলা ঘাগড়া ইউনিয়নের সিহারা গ্রামে বিবদমান ২টি গ্রম্নপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হাফিজ উদ্দিন গ্রম্নপ ও আবুল নাসের গ্রম্নপের মধ্যে সংঘর্ষে গত ১১ মাসে ৩টি খুন ও ৪ শতাধিক লোক আহত হওয়ার ঘটনায় ৮টি মামলার বিচার কাজ শুরম্ন হতে না হতেই চলছে নতুন করে পুলিশি টহলের মধ্যেও সংঘর্ষের প্রস’তি ও অস্ত্রের মহড়া। সম্প্রতি পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে বলে গ্রাম বাসীরা জানায়। যে কোন মহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষে আশংকা করছে এলাকাবাসী। নিরিহ লোকজন ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার (০৭ মে) সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবুল নাসের গ্রম্নপের লোকজন প্রকাশে মহড়া দিচ্ছে। স্থানীয় ধোবাজোড়া বাস ষ্ট্যান্ডের ব্যাবসায়ী বাবুল ভূইয়া, রম্নবেল, আলমগীর জানান, প্রতিদিন আবুল নাসের গ্রম্নপের লোকজন ইঞ্চিন চালিত ট্রলার নিয়ে বাস ষ্ট্যান্ডে এসে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করছে। এছাড়াও গত ৫ই মে আবুল নাসের গ্রম্নপের পুলিশি টহলের উপর হামলা চালায় বলে গ্রামবাসী মেনু মিয়া, অসর উদ্দীন, ইসমাইল মিয়া, খালেক মিয়া সহ প্রত্যড়্গদর্শীরা জানান। হাফিজ উদ্দিন গ্রম্নপের নেতা হাফিজ উদ্দিন জানান, আমরা সংঘর্ষে বিশ্বাসী নই। প্রতিপড়্গ আবুল নাসের গ্রম্নপের লোকজন গত ২৭ শে মে সন্ধ্যায় আমার গ্রম্নপের আঃ রাশিদ (৬৫) কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে বর্তমানে সে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ নিয়ে মিঠামইন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও পূর্বে ঘটনায় বর্তমানে ৮টি মামলা চলছে। প্রতিপড়্গ লোকজন নতুন করে সংঘর্ষের সৃষ্টি করছে। আবুল নাসের গ্রম্নপের নেতা আবুল নাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই মুর্শিদ মিয়া জানান, অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। হাফিজ উদ্দিন গ্রম্নপের লোকজন নতুন করে সংঘর্ষে ঘটানোর চেষ্টা করছে।
ঘাগড়া শহীদ আঃ গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালানা কমিটির সাবেক সভাপতি ও ধোবাজোড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফারম্নক ভূইয়া জানান, ধোবাজোড়া টেম্পু ষ্ট্যান্ডে আবুল নাসের গ্রম্নপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা সময় তিনি তাদের কড়া ভাষায় সর্তক করেন এবং অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরার না করা জন্য অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন, ৩ খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে সংঘর্ষ কারো জন্য কাম্য নয়। তিনি এসকল কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য আহব্বান জানান। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বিদ্যামন।
মিঠামইন থানার টহলরত পুলিশ কর্মকর্তা এ,এস, আই কামাল জানান, পুলিশ প্রতিদিন সংর্ঘষ এড়াতে সিহারা গ্রামে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন উভয় পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশের উপর হামালার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। পুলিশ টহল না থাকলে পূনরায় সংঘর্ষে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আংশকা করছেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ | মে ০৮, ২০১৫