| সন্ধ্যা ৬:৫৯ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নেত্রকোনায় খোলা আকাশের নীচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনা শহরতলীর ধীতপুর আবুল হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন খোলা আকাশের নীচে পড়াশুনা করছে। ভয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভবনের ছাদের নীচে আর কোন ছাত্র-ছাত্রী বসে পড়াশুনা করতে চায়না। এতে করে বিদ্যালয়ে কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পাশাপাশে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, জেলা শহর থেকে প্রায় চার কিমোমিটার দূরে সদর উপজেলার বাংলা ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রাম। গ্রাম ও জমি দাতার নামে ধীতপুর আবুল হোসেন নামে বিদ্যালয়টির নাম। ওই বিদ্যালয়ে গত বছর ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন- শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৭৫জন। এবার কমে তা দাড়িয়েছে ১৯৬জনে। শিক্ষক রয়েছেন চারজন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিবাবকরা জানান, একতলা ভবনের ছাদের আস-র খসে পড়ছে, দেয়ালে ও ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। শিক্ষার্থীদের পাঠদান গ্রহনের সময় ছাদের আস-র খসে পড়ে। গত ক’দিন আগে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল হকের মাথায় আঘাত পায়। এর পর থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে সাহস পায়না। অভিবাবকরা তাদের সন-ানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেননা। এতে করে দিনদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সমপ্রতি ভূমিকম্প হওয়ায় ভয় আরও বেশি দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ের বাইরে খোলা আকাশের নীচে পাঠদান করছেন।
ধীতপুর আবুল হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান ক্ষোভের সাথে বলেন, এটি কোন বিদ্যালয় নয় ; যেন মরন ফাঁদ হয়ে দাঢ়িয়েছে। প্রায় সময়ই উপরে থেকে সিমেন্ট সুরকি খসে পড়ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গ্রামের মানুষ তাদের ছেলে মেয়েদের ঝুঁকির মধ্যে বিদ্যালয়ে পাঠাতে চায়না।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আবদুস ছালাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ন আবস’ার কথা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জনানো হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের লোকজন বিদ্যালয়টি দেখেও গেছে। কিন’ সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। এলাকার শিক্ষার বিস-ারে দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস’া গ্রহনের জন্য আমরা এলাকাবাসী আশাবাদী।
প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, ছাত্র-ছাত্রী দিনদিন কমতে শুরু করেছে। ভবনের ভিতর ক্লাস নিতে গেলে ভয় লাগে। খোলা আকাশের নীচে শিশুদের পড়াতে হয়। আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দিতে হয়। এতে করে লেখাপড়ার মান দিনদিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ( ছবি- সংযুক্ত)

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:১৪ অপরাহ্ণ | মে ০৫, ২০১৫