| সকাল ৯:৫১ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রথম প্রান্তিক ২০১৫: ২০১৫ সালের চ্যালঞ্জবহুল যাত্রা শুরু

ঢাকা- ৪ মে ২০১৫) গ্রামীণফোন লিঃ ২০১৫ সালের ১ম প্রান্তিকে ২৫২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১% বেশি । তবে ২০১৪ এর ৪র্থ প্রান্তিকের তুলনায় রাজস্ব কমেছে ২.৯%। সেবা থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ০.৮% (আগের বছরের তুলনায়) সেই সাথে গ্রাহকদের ব্যবহার্য ডিভাইস এবং অন্যান্য রাজস্ব বেড়েছে ৫.২%(আগের বছরের তুলনায়)। সেবা থেকে রাজস্ব আয় প্রবৃদ্ধি প্রধানত ডাটা ও মূল্য সংযোজিত সেবা থেকে এসেছে। ডাটা এবং মূল্য সংযোজিত সেবা থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে যথাক্রমে ৬৭.৯% এবং ৩৭.২%।
এই প্রান্তিকে গ্রামীণফোনে নতুন গ্রাহক যোগ হয়েছে ৫ লক্ষ যার ফলে গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫ কোটি ২০ লক্ষতে। গত বছরের তুলনায় গ্রাহক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৮% এবং সিম মার্কেট শেয়ার হয়েছে ৪২.০%। ডাটা গ্রাহকের সংখ্যা হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৮০ হাজার এবং সেই সাথে ডাটা ব্যাবহার আশাব্যঞ্জকভাবে বেড়েছে।
গ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি বলেন,”রাজনৈতিক অস্থিরতা আর প্রবল প্রতিযোগিতার কারণে বছরের শুরুটা ভালো হয় নি। তবে আমরা স্রোতের বিপরীতে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে গেছি এবং প্রান্তিকের শেষ দিকে ব্যবসায়ের উন্নতি দেথা গেছে।” তিনি আরো বলেন, “সেবা ও পণ্যের ব্যবহার্যতা এবং নেটওয়ার্ক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে আমাদের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ব্যবসায় নতুন প্রাণসঞ্চার করবে বলে আমরা আশাবাদী”
তবে ১ম প্রান্তিকে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ থাকলেও গ্রামীণফোন তার “ইন্টারনেট ফর অল” কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে গেছে এবং ইন্টারনেট প্যাকেজের সরলীকরণ করেছে। এছাড়াও কোম্পানি তার কর্মকান্ডে অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতা নিয়ে আসতে অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, সামাজিক এবং প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা উল্লেখ করে প্রথমবারের মতো সাস্টেইনিবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
আয়কর প্রদানের পর ২০১৪ এর ১ম প্রান্তিকে ২০.৭% মার্জিন সহ ৫২০ কোটি টাকা মুনাফার তুলনায় ২০১৫ এর ১ম প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছে ২১.৩% মার্জিন সহ ৫৪০ কোটি টাকা। পরিচলন ব্যয় ব্যবস্থাপনার কারণে এই প্রান্তিকে EBITDA (অন্যান্য আইটেমের আগে) বেড়েছে ২%। EBITDA মার্জিন বেড়েছে ৫৪.২%। এই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩.৯৬ টাকা যা ২০১৪ এর ১ম প্রান্তিকে ছিল ৩.৮২ টাকা।
গ্রামীণফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন,” দূরদর্শী তৃণমূল পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধি উদ্যোগের ফলে এই প্রান্তিকে আমরা মূনাফামূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছি। অধিকতর বিনিয়োগ হলেও আমাদের ক্যাশ ফ্লোর অবস্থান ভালো ছিল।“
গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে ৩জি নেটওয়ার্ক স্থাপন, ২জি নেটওয়ার্ক এর মানোন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে ৩৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে আরো বেশি কল ও ডাটা ব্যবহার এবং নতুন নতুন সেবা প্রদানের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এদিকে দেশের বৃহত্তম করদাতা গ্রামীণফোন ২০১৫ এর ১ম প্রান্তিকে সালে সরকারী কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে ১২১০ কোটি টাকা দিয়েছে যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৪৮ শতাংশ।
গ্রামীণফোন গত ২১ এপ্রিল ২০১৫ তে তার ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করে। সভায় অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি শেয়ারহোর্ডারগণ ২০১৪ সালের জন্য ১৬০ শতাংশ মোট নগদ লভ্যাংশ (৯৫% অন্তবর্তী নগদ লভ্যাংশ সহ) অনুমোদন করেন। এখানে উল্লেখ্য যে ৯০% এরও বেশি শেয়ারহোল্ডার সভার পরের দিনই লভ্যাংশ বুঝে পেয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০:০৭ অপরাহ্ণ | মে ০৪, ২০১৫