| সকাল ৯:৪৭ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিটি নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপিতে অসন্তুষ্ট শারম্যান

অন লাইন ডেস্ক, : সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশের তিন সিটি নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ওয়েন্ডি শারম্যান।  এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাজার-সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পেতে তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক নির্যাতন বন্ধসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে আরো অনেক কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন শারম্যান।  শুক্রবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ অংশীদারিত্ব সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, “ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর আমি এখানে এসেছি। আমরা হতাশ, অনিয়ম ও ভোট চলাকালীন বিএনপির বয়কট উভয় কারণেই।” শারম্যান বলেন, “নির্বাচনে অনিয়মগুলো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। পরবর্তী নির্বাচন যাতে উন্নততর হয় তাও নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এটা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” সিটি নির্বাচনের বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও আলাপ করেছেন বলে জানান।

“সাধারণ লক্ষ্য ও উন্নয়ন, বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সংহতি অর্জনে এই দুই মডারেট ও বহুত্ববাদী দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এসব লক্ষ্য অর্জনে আমরা অনেক উন্নতি করেছি, বিশেষ করে উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ ও তাদের লক্ষ্য অর্জন সমর্থন অব্যাহত রাখব।” যোগ করেন শারম্যান।তিনি বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশ লক্ষ্যে আমাদের সমর্থন রয়েছে।”ওয়েন্ডি শারম্যান বলেন, “পোশাক খাতে বাংলাদেশের একমাত্র বৃহৎ আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাণিজ্য সম্পর্ক এর বাইরেও রয়েছে : শেভরন, কোকাকোলার মতো মার্কিন কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা বলছে। আমরা ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগে সমর্থন করি।”নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে শারম্যান আরো বলেন, “নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্টবাদী ভূমিকা রয়েছে এবং তিনি এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন। আমরা উভয় পক্ষই মনে করি, একটি দেশের শক্তি সমগ্র জনগোষ্ঠীর মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়।” অংশীদারিত্ব সংলাপে ওয়েন্ডি শারম্যানের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ও ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। আর বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক।  বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন, সুশাসন, নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শেষে দুদেশের সহযোগিতা আরো এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ | মে ০১, ২০১৫