| সন্ধ্যা ৭:৪৯ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পিতাকে বেঁধে ২ মেয়েকে ধর্ষণ: ধর্ষকদের ধরতে লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা, ৩০ এপ্রিল ২০১৫, বৃহস্পতিবার,

ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে চলন্ত নৌকায় পিতাকে বেঁধে রেখে ২ মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ধর্ষকদের ধরিয়ে দিতে ঘোষণা করা হয়েছে লাখ টাকার পুরস্কার। বুধবার বিকালে গাবসারা ইউনিয়নের রুলী পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এলাকার প্রায় ৫ হাজার লোকের উপস্থিতিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন তালুকদার জিন্নাহ ও ফজল মন্ডল এ পুরস্কার ঘোষণা করেন। এর আগে সোমবার উত্তেজিত জনতা ধর্ষক আসাদুল, নজরুল, রহমান ও সাইদুলের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৌকার মাঝি সুজালের দু’টি নৌকা পুড়িয়ে দেয়।
এদিকে ধর্ষিতা দুই বোনের পিতা ময়চাঁন আলী বাদী হয়ে রোববার রাতে নৌকার মাঝি সুজালকে প্রধান আসামি করে আসাদুল, নজরুল, রহমান, সাইদুলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দুই জনের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় দায়ের করলেও এখন পর্যন্তও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মামলার পরদিন ধর্ষকরা গোবিন্দাসী এলাকায় অবাধে বিচরণ করলেও তাদের গ্রেপ্তার না করায় এলাকার লোকজনের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।  অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল ধর্ষকদের নিজেদের আশ্রয়ে রেখে মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সোমবার ভূঞাপুর থানার ওপেন হাউজ ডে’র আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল ধর্ষনের এ ঘটনা।
গোপালপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো.আবুল হাসনাত ও থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বেলটিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক ময়চাঁন আলীর দুই মেয়ে গাজীপুরের একটি গার্মেন্টে চাকরি করতো। গত ১৩ ই এপ্রিল সন্ধ্যায় তারা ছুটি নিয়ে গাজীপুর থেকে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। বাড়ি ফিরতে রাত হবে মনে করে বাবাকে মোবাইল ফোনে নৌকা নিয়ে গোবিন্দাসী ঘাট পর্যন্ত এগিয়ে আসতে বলে। মেয়েদের কথামতো বাবা ময়চাঁন আলী সুজালের (২৮) নৌকা ভাড়া করে গোবিন্দাসী ঘাটে আসে। দুই বোন গোবিন্দাসী ঘাটে এসে পৌছালে ওই নৌকাযোগে বাবার সঙ্গে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তাদের বহনকারী নৌকাটি যমুনা নদীর রামপুর নামক স্থানে পৌছলে নৌকা চালক সুজালের যোগসাজসে আসাদুলের নেতৃত্বে নজরুল, রহমান, সাইদুলসহ পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আরো কয়েকজন নৌকাটির গতিরোধ করে হামলা করে। এসময় তারা মেয়েদয়ের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। পরে তারা নৌকার মধ্যে পিতার হাত-পা বেঁধে রেখে তার ২ মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ৩০, ২০১৫