গৌরীপুরে মাছ, মাংস ও সবজির দাম হঠাৎ বৃদ্ধি

সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : গৌরীপুর উপজেলার সর্বত্র হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে গরুর মাংস, মাছ ও সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০০ টাকা কেজির গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা। চাষ ও সামুদ্রিক সব ধরনের মাছ প্রতি কেজিতে আগের তুলনায় বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যদিকে বরবটি, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, টমোটো, করলাসহ বেশির ভাগ সবজি কেজিপ্রতি আগের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
মাংস বিক্রেতারা মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ থাকাকে দায়ী করলেও সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন ব্যয় বাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মাস আগে গৌরীপুর বাজারে কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দর ছিল ২৮০ টাকা। হঠাৎ কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানো হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা বাড়িয়ে তা ৩৫০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। মাংস বিক্রেতাদের তথ্যানুযায়ী, গৌরীপুরে ছোটবড় মিলে মোট ২০টির মতো কসাইখানা রয়েছে। প্রতিটি কসাইখানায় আগে প্রতিদিন ২-৫টি গরু জবাই করা হতো। যার বেশির ভাগই ছিল ভারতীয়। আমদানি ও দাম কম থাকায় তখন কম দামে মাংস বিক্রি সম্ভব ছিল। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় গরু না আসা এবং সংকট থাকায় দেশীয় গরু দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। তাই মাংসও বিক্রি করতে হয় বেশি দামে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পুকুর-ঘেরে চাষ করা কই, শিং-মাগুর, রুই, কাতল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ প্রত্যেক ধরনের মাছ প্রতি কেজিতে আগের তুলনায় ৫০-১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দামও কেজিতে ৫০ টাকা করে বেড়েছে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন খরচ আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে পাইকারি বাজার থেকে চড়া দামে কেনার কারণে সবজির বাজারে বড়বটি, ঢেঁরস, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, পটল ও করলা আগের তুলনায় দাম বেড়েছে। #####