| রাত ১২:০৮ - বুধবার - ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাসে উঠে বাড়িতে গেলেন করোনা রোগী

লোক লোকান্তরঃ  ৩৪ বছর বয়সী এক গার্মেন্ট শ্রমিক। মঙ্গলবার (২ জুন) তাকে জানানো হয় তিনি করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু জানা গেল অতিরিক্ত জ্বর হওয়ায় ও সেবা করার লোক না থাকায় তিনি গতরাতেই বাসে করে অন্য জেলায় বাড়িতে চলে গেছেন।

 

করোনা উপসর্গ থাকায় গত ২৭ মে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষার জন্য আসেন পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের ওই গার্মেন্ট শ্রমিক। মঙ্গলবার  তিনি করোনায় আক্রান্ত জানানোর সময় ওই শ্রমিক জানান অতিরিক্ত জ্বর ও সেবা করার লোক না থাকায় তিনি গতরাতে বাসে শ্রীপুর থেকে লালমনিরহাটে চলে গেছেন।

 

ওই গার্মেন্ট শ্রমিক জানান, পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় এলাকায় আব্দুল বাতেনের ভাড়া বাড়িতে ফখরুদ্দিন টেক্সটাইল মিলস নামের একটি কারখানায় কাজ করেন তিনি। স্ত্রী গ্রামের বাড়িতেই থাকেন।

 

গত ২২ মে তিনি কারখানায় কাজে যোগদানের পর তার শরীরে জ্বর অনুভূত হয়। তিনি জ্বর নিয়েই কারখানার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন। পরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

 

এদিকে তার জ্বর না কমায় তিনি ২৭ মে আবার কারখানার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকে জানান। পরে চিকিৎসক তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।

 

ওই দিনই তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে নমুনা দেন। নমুনা দেয়ার পর তিনি কেওয়া গ্রামের ওই ভাড়া বাসায়ই অবস্থান করছিলেন।

 

তিনি বলেন, ওখানে আমি একাই ছিলাম। অনেক জ্বর, আমি একা কূলাতে পারছিলাম না। আমাকে সেবা করার মতো কেউ ছিল না। অনেকটা নিরুপায় হয়ে সোমবার রাতে শ্রীপুর থেকে লোকাল বাসে গাজীপুর চৌরাস্তায় যাই।

 

সেখান থেকে আরেকটি লোকাল বাসে করে চন্দ্রা এলাকায় গিয়ে লালমনিরহাটের একটি বাসে ওঠেন। মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটে পৌঁছান তিনি।

 

বাসে তিনি নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই গিয়েছেন বলে জানান। বর্তমানে তিনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার উত্তর জরানী গ্রামে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন এবং কারখানার মেডিকেল টিমের দেয়া পরামর্শমতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

আরও পড়ুন – করোনার খবর গোপন করে কর্মস্থলে ২২ দিন কাজ করলেন রোগী

 

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, নমুনা সংগ্রহ করার পরপরই প্রত্যেক রোগীকে খুব গুরুত্ব দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু অনেকেই তা মানেন না। এতে আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে। বর্তমানে লালমনিরহাট যাওয়া রোগীর বিষয়ে ওই এলাকার স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তারা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

 

ফাইল ছবি

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩:৪৭ অপরাহ্ণ | জুন ০২, ২০২০