জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে বিয়ে দেয়ায় বিচার চান প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র
লোক লোকান্তরঃ জোর করে মাইক্রোবাসে করে বাড়িতে নিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়ায় বিচার চান অনিল চন্দ্র রায়। তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক।
তার অভিযোগ, সোমবার দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকায় স্কুলের কাজে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে আসেন তিনি। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা সড়কে ওঁৎ পেতে থাকা কয়েকজন যুবক তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
এরপর মাইক্রোবাসটি উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের একটি অপরিচিত বাড়িতে থামায়। তাকে জোর করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ের সঙ্গে কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ২০ মিনিটের মধ্যে বিবাহের কাজ সম্পন্ন করে।
অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আরও জানান, পরবর্তীকালে একজনের মোবাইল দিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে থানা এবং তার সহকর্মীদের চেষ্টায় সেখান থেকে উদ্ধার হন তিনি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, আকস্মিক ফিল্মি স্টাইলে আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমি এর বিচার চাই।
তিনি জলঢাকা পৌরসভার দুন্দিবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ওই প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফাইল ছবি