৫ হাজার রুপিতে কেনা গরু বাংলাদেশে ৬০ হাজার টাকা, গরু আসছে মাটির নিচ দিয়ে
লোক লোকান্তরঃ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার একটি নিয়মিত ঘটনা। তবে এবার দুই দেশের পাচারকারীরা তাদের পাচারের ধরনটা একটু পরিবর্তন করেছে। গরু পাচারের ক্ষেত্রে তারা এখন সীমান্তে মাটির নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ পথ ব্যবহার করছেন।
ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এ তৎপরতা আরো বেড়েছে। কারণ উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যে গরু মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার রুপিতে কেনা হয়, সেই গরু বাংলাদেশে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
ভারতের শিলচরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা মাটির নিচে গরু চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত একটি গোপন সুড়ঙ্গ আবিষ্কার করার পরই টনক নড়ে প্রশাসনের।
গতকাল ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, কথিত ওই সিক্রেট টানেল বা গোপন সুরঙ্গটি ভারতের করিমগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। টানেলটি বিএসএফের মদনপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কয়েক মিটার দূর থেকে গহীন অরণ্যের ভূগর্ভে অবস্থিত। করিমগঞ্জের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ৯২ কিলোমিটার।
গত মাসে করিমগঞ্জের পুলিশ ১০ চোরাচালনিকে গ্রেফতার করেছে। তারা এই গোপন সুড়ঙ্গ দলের নতুন সদস্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায় বলেছেন, এ সপ্তাহের গোড়ায় বাংলাদেশী গরু চোর বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশ ওই সুরঙ্গের সন্ধান পেয়েছে। দুই গরুচোরকে জিজ্ঞাসাবাদকালে ওই সুরঙ্গে বিষয় পুলিশকে চিনিয়ে দিয়েছে বলে পুলিশ সুপার দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশী গরু চোরাচালানিরা চোরাচালানকে নির্বিঘ্ন করতে ভারতীয় স্থানীয়দের নিয়োগ দিয়ে থাকে। কালভার্টের পাইপগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট নিচে প্রোথিত। টহল দেয়ার সড়কগুলো সাধারণত ৩ ফুট ব্যাসের।
করিমগঞ্জের এ রকম রাস্তা আছে ১০৬ কি.মি.। এর মধ্যে এরকম প্রায় ৬৩টি ‘প্রাকৃতিক শূণ্যতা’ রয়েছে। আর দুটি অংশের বড় দুটি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই।
নজরদারির কারনে চোরাচালানি আগের চেয়ে কমেছে। তাই ফাঁকি দিতে এখন সুড়ঙ্গ পথও কাজে লাগানো হচ্ছে।