| রাত ১১:৪৫ - শনিবার - ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে বিনা ধান চাষ

লোক লোকান্তরঃ   ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে পতিত জমিতে বিনাধান-৫,৮ ও ১০ চাষাবাদ করে সাফল্য অর্জন করেছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।

 

বুধবার গিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চরসাজাই মন্ডলপাড়া গ্রামের এরশাদ আলী মাস্টার চরাঞ্চলের কৃষকদের একত্র করে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন পতিত জমি বিনা ধান-৫,৮ ও ১০ চাষ করে সাফল্য পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে কৃষকরা। বিনা ধান-৫,৮ও ১০ আবাদ করে সফলতার মুখ দেখেছেন দুরিদ্র কৃষকরা।

 

এরশাদ জানান,বিনা ধান -৫,৮ ও ১০ বোরো মৌসুমে চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া যায়। এ জাতের ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় ফলন বেশি হয়। এছাড়াও অন্য জাতের বোরো ধানক্ষেতে শীষ ব্লাস্টার রোধে আক্রমণ করলেও এ জাতের ধানে কোন রোগের আক্রমণ নেই।

 

তিনি জানান, শতাধিক কৃষককে বিনামূল্যে এ ধানের বীজ দেওয়া হয়েছে। এলাকার কৃষক অল্প পরিশ্রম করে বেশি ফসল পাক এর জন্য র্নিলস পরিশ্রম তার। তিনি আরও জানান,এবারের কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আশেপাশের বাদাম ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হলেও এ চরে ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। আবাদ দেখে রাজিবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ খুশি হয়ে আরও ভাল ফলনের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।

 

এ ব্যাপারে কথা হয় রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান এর সাথে। তিনি বলেন, এরশাদ শুধু বিনা ধান -৫,৮ ও ১০ লাগিয়ে তাক লাগাননি, তিনি এলাকায় নতুনত্ব চাষাবাদের সুত্রপাত ঘটিয়েছেন। তার অনেক সফলতাই বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া সবজি,বেগুন,টমেটো,পেঁয়াজ চাষেও বাম্পার ফলন করেছেন। বন্যা শহনশীল বিনা ধান -১১ ও ১২ আবাদ করে তিনি সব চেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এলাকায়।

 

কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু জানান, এরশাদ একজন উন্নত ও নতুনত্ব চাষাবাদের প্রতিক। প্রতিদিন সূর্য উঠা থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কৃষান-কৃষানীরা তার বাড়িতে ভীড় জমায় তার পরামর্শ নেওয়ার জন্য। তিনি আর ও বলেন তার মত কৃষি উদ্যোক্ততা থাকলে কৃষির উন্নয়ন সম্ভব।

 

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন, রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলম, আর্ন্তজাতিক স্বর্ন পদক প্রাপ্ত মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ,বিভাগীয় প্রধান উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, সাম্প্রতিক ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে এসে বিনা ধান-৫,৮ ও ১০ ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৩২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২০, ২০১৮