ভারতের নারী ফুটবল লিগে বাংলাদেশের সাবিনা-কৃষ্ণা
লোক লোকান্তরঃ বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার অর্থায়নে নারী ফুটবল লিগের আয়োজন করছে ভারত। আগামী ২৫ মার্চ লিগ শুরু হবে।
বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে বিদেশি লিগের দুয়ার আগেই খুলেছেন সাবিনা খাতুন। মালদ্বীপের ঘরোয়া লিগে দুই মৌসুম খেলেছেন জাতীয় দলের এ ফরোয়ার্ড। এবার ভারতীয় লিগে খেলতে যাচ্ছেন সাবিনা। সাথে যাচ্ছেন জাতীয় দলের আরেক সতীর্থ ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার।
সাত দলের সেই হিরো ইন্ডিয়া নারী ফুটবল লিগে তামিলনাড়ুর সেতু এফসির হয়ে খেলবেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের এ দুই ফরোয়ার্ড। ২৬ মার্চ সাবিনা ও কৃষ্ণাদের ম্যাচ। ম্যাচে তিনজন বিদেশি সুযোগ পাবেন একাদশে।
শিলিগুড়িতে হওয়া গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলার পথে ৭ গোল করেছিলেন সাবিনা। তামিলনাড়ুর দলটির জার্সিতেও আলো ছড়ানোর অপেক্ষায় এই ফরোয়ার্ড।
ভারতে খেলতে যাওয়ার আগে সাবিনা বলেন, ‘মালদ্বীপ ও ভারতে খেলার মধ্যে অনেক পার্থক্য। মালদ্বীপে অনেক গোল করেছিলাম। লক্ষ্য থাকবে ভারতেও অনেক গোল করে দলকে সফল করার পাশাপাশি দেশের গৌরব বাড়ানোর।’
প্রথমবারের মতো দেশের বাইরের লিগে খেলতে যাওয়া কৃষ্ণা রানী সরকার জানালেন সুযোগ কাজে লাগাতে মুখিয়ে থাকার কথা। এ নিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ দলে বাংলাদেশের অধিনায়ক কৃষ্ণা , ‘এই প্রথম দেশের বাইরে খেলার সুযোগ পেলাম। প্রথম আসরেই ভালো খেলতে চাই। দেশের সম্মান রাখতে চাই। সাবিনা আপু ফরোয়ার্ড। আমিও তাই। আমারও লক্ষ্য গোল করা। আমাদের খেলা দেখে যেন আরও ফুটবলার আমন্ত্রণ পায় সেই চেষ্টা করব।’
নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘মেয়েরা সেখানে গিয়ে নিজেদের প্রমাণ করবে। আশা করছি বাংলাদেশের ফুটবলকে তারা আরও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
একদশক আগেও ভারতের লিগে বাংলাদেশের ফুটবলারদের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। আসলাম, সাব্বির ও মোনেম মুন্নারা কলকাতা মাতিয়ে এসেছেন। শেষ কয়েক বছরে মামুনুল ইসলাম ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ফুটবলার বিদেশের লিগে খেলার সুযোগ পাননি।
যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অ্যাথলেটিকো ডি কলকাতায় নিবন্ধিত হলেও খেলার সুযোগ পাননি মামুনুল। পুরুষ ফুটবলে ক্রমাগত ব্যর্থতার সময়ে বাংলাদেশের এই দুই নারী ফুটবলারের ভারত লিগে ডাক পাওয়া, নিঃসন্দেহে দেশের ফুটবলের জন্য এ এক মাইলস্টোন।