| রাত ১:০২ - মঙ্গলবার - ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বে যখন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ

লোক লোকান্তরঃ  বিপিএলই যোগ্য অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। সাকিব আল হাসানের চোটের কারণে বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাতে হবে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে। ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি বলে আলোচনায় ফিরে এসেছে বিপিএল।

 

২০১৫ বিপিএলে বরিবাল বুলসকে পথ দেখিয়ে ফাইনালে তুলেছিলেন ব্যাটে-বলে আলো ছড়ানো মাহমুদউল্লাহ। পরের দুটি আসরে খুলনা টাইটান্সের অধিনায়কের পদ সামলেছেন জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ এই ক্রিকেটার। ২০১৬ বিপিএলে খুলনাকে নিয়ে গেছেন সেমি ফাইনাল পর্যন্ত।

 

সর্বশেষ আসরেও খুলনাকে শেষ চারে তুলে সমাদৃত হয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এই আসরের কারণেই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর দেখা মিলেছে।যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যান্য আসরে অধিনায়কত্ব পালন করলেও সেটা সবার দৃষ্টিগোচর হয় না।

 

সাকিব আল হাসানের চোটের কারণে বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাতে হবে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিপিএলের মতো স্বাধীনতা নিয়েই অধিনায়কত্ব পালন করতে চান তিনি।

 

প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে মাহমুদউল্লাহ বলছেন, ‘যেহেতু দায়িত্ব পেয়েছি, আমি আমার তরফ থেকে চেষ্টা করব। যেভাবে চেষ্টা করি প্লেয়ারদের কাছ থেকে বেস্ট আউটপুট বের করে নেওয়ার, একইভাবে চেষ্টা করব। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, টি-টোয়েন্টিতে যদি প্লেয়ারদের মোটিভেট ও ফ্রিডমটা না থাকে তাহলে পারফর্ম করার সুযোগ অনেক কমে যায়।’

 

এ কারণেই মাঠ ও মাঠের বাইরে আগের ভূমিকাতেই থাকতে চান তিনি, ‘আমি চেষ্টা করব মাঠ ও মাঠের বাইরে একই কাজ করার। আমাদের দলে নতুন মুখ আছে বেশ কজন, ওদের উপর যেন কম প্রেসার দেওয়া যায়। ওদেরকে পারফর্ম করার সুযোগটা দেব। সেটা ছোট ইনফরমেশনের মাধ্যমে হোক বা উপস্থিত বুদ্ধির মাধ্যমে হোক। দলে বেশ কজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব সেরা ক্রিকেটটা যেন খেলতে পারি।’

 

টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে মাহমুদউল্লাহ যখন আশার কথা শোনাচ্ছেন, তখন তাদের পিছু নিচ্ছে সর্বশেষ দুটি সিরিজের সুঃসহ স্মৃতি।

 

যদিও সেদিকে নজর দিচ্ছেন না তিনি, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আলাদা একটা ফরম্যাট। ডিফরেন্ট বল গেম। আমার যেটা মনে হয় আমাদের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্যের ওপর একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন আছে। এই সিরিজে বাকি বিশ্বকে বার্তা দেওয়ার একটা ব্যাপার আছে। এই সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য, আমাদের ক্রিকেটের জন্য।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২:৪২ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮