সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
লোক লোকান্তরঃ যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাস উদ্বোধন এবং সদর দফতর ৭ পদাতিক ডিভিশনসহ ১১টি সদর দফতর/ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, পবিত্র সংবিধান ও দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
সেনাবাহিনীর নয়টি ডিভিশনের আওতায় দেশে ৩০টি সেনানিবাস থাকলেও এতদিন দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় কোনো সেনানিবাস ছিল না। দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি জেলায় বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে ২০০ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হতো।
জাতীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তাসহ দক্ষিণ উপকূলের ৬ জেলার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মেকাবেলায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার দেড় হাজার একর এলাকায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সেনানিবাসটি। সেখানে মোট জনবল ১৭ হাজার।
এই সেনানিবাসটি উপকূলী এলাকার নিরাপত্তার পাশাপাশি দুর্যোগকালে দুর্গতদের জরুরি সহায়তা পৌঁছতে সহায়তা করবে বলে আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার দুই ভাইয়ের সেনা সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন। বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের রয়েছে সুদৃঢ় পারিবারিক বন্ধন। আমার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় ভাই শহীদ লে. শেখ জামাল ১৯৭৫ সালে রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ড হার্স্ট্রয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে কমিশন লাভ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।’
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ছুটে আসে রোহিঙ্গদেরকে সহায়তায়ও সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এটি বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।
সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক, পেশাদার সশস্ত্রবাহিনীকে বিশ্ব মমানের আধুনিক বাহিনীতে উন্নিত করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষপ নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে তখনকার সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে আধুনিকায়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সশস্ত্র বাহিনীকে বারবার ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
এসময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি প্রমুখ।
ফাইল ছবি