| সকাল ৮:৪৪ - রবিবার - ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ পরিবার ও সংগঠনটির

ময়মনসিংহে ইত্তেফাকুল উলামার সহ-সম্পাদককে ডিবি পরিচয়ে নিয়ে গেছে ! কিন্তু পুলিশ জানে না ॥

স্টাফ রিপোর্টারঃ    ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক ও মাদরাসা ছাওতুল হেরা’র শিক্ষক মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারের সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

 

বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়। নইলে আন্দোলনের কর্মসুচী ঘোষনা করার হুমকি দিয়েছেন তারা।

 

এব্যাপারে জানতে সন্ধ্যায় ডিবি’র ওসি ইমারত হোসেন গাজী জানান, এ বিয়য়ে তিনি কিছুই জানেন না। পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, জেলা পুলিশ ও র‌্যাব-১৪ মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকার নামে কাউকে আটক করেনি।

 

ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মুহিববুল্লাহ লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ২০/২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে শহরের খাগডহরস্থ তার নিজ বাসা থেকে মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

 

এসময় মাওলানা শহীদুল্লাহ’র তার মাকে সকালে ডিবি অফিসে খোঁজ নিতে বলে যায়। কিন্তু পরিবারের লোকজন ও সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বুধবার দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কেউ তাঁর কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। বর্তমানে দিশেহারা এ পরিবারটি তার সন্ধান চায়।

 

পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাতে ২০/২৫ জনের সশস্ত্র দলটি মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারের বাসার কলাপসিবল গেইট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে তিনি নিজেই গেইট খুলে দেন। এরপর সশস্ত্র লোকেরা ডিবি’র পরিচয় দিয়ে মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারকে বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের সাথে যেতে হবে।

 

এসময় তার সাথে কোনো অসদাচরণ করেনি বা হ্যান্ডকাপ পড়ায়নি। বাসার দারোয়ানের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, ওই বাসার দারোয়ান তাদেরকে জানিয়েছেন দুইটি মাইক্রোবাসযোগে ২০/২৫জন লোক বাসার সামনে এসে মোবাইলে ছবি দেখালে সে মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারের বাসাটি চিনিয়ে দেয়। আগত লোকদের সবাই অস্ত্রধারী ছিল।

 

এসময় মাওলানা শহীদুল্লাহ সরকারের মা জহুরা খাতুন, স্ত্রী শাহনাজ পারভীন, দুই কন্যা শাম্মী শহীদ তারান্নুম (৯) ও শাহাদিকা শহীদ তাবরিয়া (৬) ছাড়াও ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঞ্জুরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুশাররফ হোসেন জেহাদী, মুফতি আমীর ইবনে আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইদুল ইসলাম ও মুফতি জাকির হোসেনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১:০৮ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৬, ২০১৭