| সকাল ৮:০৭ - শুক্রবার - ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

এবছর ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নানে পূণ্যার্থীর সংখ্যা কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব অষ্টমী স্নান উপলক্ষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তীর্থস্থান ময়মনসিংহের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের দু’পাড়ের গত বছরের তুলনায় এবার পূণ্যার্থীর  উপস্থিতির সংখ্যা অনেক কম।

 

আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই ব্রহ্মপুত্র নদের দু’তীরে পূণ্যার্থীরা অষ্টমী স্নান সম্পন্ন করার জন্য জড়ো হতে থাকে।

 

ব্রহ্মপুত্র নদের দু’তীরে অষ্টমী স্নান সম্পন্ন করতে ভোর থেকে পূণ্যার্থীরা এসে বিভিন্ন ঘাটে জড়ো হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নদ তীরবর্তী স্থানে কাপড় পাল্টানোর জায়গা ও শৌচাগারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় স্নানোৎসবে আসা দূর-দূরান্তের তীর্থযাত্রীদের।

 

উৎসবটিকে ঘিরে নদ তীরবর্তী এলাকায় ও শহরের  দূর্গাবাড়ী, স্বদেশী বাজার ও আমপট্রি সড়কে গ্রামীন মেলা বসেছে ।

 

ভোর থেকে কয়েকটি ঘাটে অষ্টমী স্নানকে ঘিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বি তীর্থযাত্রীরা তাদের পবিত্র মন্ত্র উচ্চারন করে ফুল, কলা, আম, ডাব, হরতকিসহ পূণ্যযাত্রীরা ভক্তিমন্ত্রের সাথে সাথে মেতে উঠে স্নানোৎসবে। এছাড়া জেলার বেগুনবাড়ি, বিদ্যাগঞ্জ, পিয়ারপুর, কালির বাজার, ধলা, রৌহাসহ কয়েকটি স্থানের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে পুণ্যার্থীরা অস্টমীর স্নান ও পুঁজা সম্পন্ন করেন।

 

অষ্টমী স্নান করতে আসা পূণ্যার্থীর ও পুরোহিতরা জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ শহরের কালিবাড়িতে গতকাল সোমবার পুলিশের অভিযানে ৭ জঙ্গী আটক হয় এবং জঙ্গী আতংকের ভয়ে পূণ্যার্থীর সংখ্যা এবছর কমেছে।

 

হিন্দু পূরাণ মতে, দেবতা পরশুরাম পিতার আদেশে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যা করেন,তখন মাতৃহত্যার অভিশাপে তার হাতে কুড়াল আটকে যায়। তখন মুণি-ঋষিদের ধারনা থেকে পরশুরাম হিমালয়ের পবিত্র সরোবরে স্নান করে পাপমুক্ত হন এবং ঐ কুড়াল হাত থেকে খসে পড়ে।

 

আর তখন থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের পূণ্যার্থীরা ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানোৎসবে মিলিত হয় পাপমোচনের লক্ষ্যে।

 

ছবিঃ লোক লোকান্তর

সর্বশেষ আপডেটঃ ২:৫৮ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০৪, ২০১৭