ময়মনসিংহে দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক গম্বুজ মসজিদের উদ্বোধন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের সদর উপজেলার চরখরিচা গ্রামে মদিনার মসজিদে নববীর আদলে নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক গম্বুজের মসজিদ। ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মনোরম ও দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদের নাম রাখা হয়েছে ‘মদিনা মসজিদ’।
শুক্রবার প্রথম জুম্মার নামায আদায়ের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় মসজিদটির। দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির আল্লামা মাহমুদুল হাসান নামাজের ইমামতি করেন। এতে কয়েক হাজার মুসল্লি অংশ নেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে মসজিদটির প্রায় ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অত্যাধুনিকতার দিক দিয়ে বৈদ্যুতিক গম্বুজের এ মসজিদ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন। সুইচ অন করলেই সরে যাবে এর গম্বুজ। তখন মসজিদের ভেতর থেকেই দেখা যাবে আকাশ। ফলে এলাকাবাসীর ধারণা, সৌন্দর্য ও নান্দনিকতার দিক থেকে মসজিদটি ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১ সালে এ মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চারতলা বিশিষ্ট মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের জন্য সারি হবে ১৯টি। প্রতি সারিতে ১১০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদে আছে পাঁচটি গম্বুজ। এর মধ্যে চারটি স্থির এবং একটি বৈদ্যুতিক গম্বুজ। উঁচু মিনার আছে দুটি। এ মিনারের উচ্চতা চারতলা ভবনের ওপর থেকে ১৬০ ফুট। মসজিদের কারুকাজে ব্যবহৃত হয়েছে মারবেল পাথর আর কাঠ। কাঠগুলো আনা হয়েছে মিয়ানমার থেকে। ছয় দরজা বিশিষ্ট এ মসজিদে মুসল্লিদের উঠা-নামার জন্য একটি চলন্ত সিঁড়িসহ মোট পাঁচটি সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে।
জানা গেছে, অনন্য দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদের উদ্যোক্তা মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমির, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান। তিনি চর খরিচার নিজ বাড়িতে মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। মসজিদের পাশে নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি কওমি মাদরাসা।
মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, “মসজিদ মহান রাব্বুল আলামিনের ঘর। অথচ আল্লাহর ঘরকে সুন্দর করার দিকে মনযোগী হই না। এটা ঠিক না। প্রত্যেক মানুষের আল্লাহর প্রতি অপরিসীম প্রেম ও ভালোবাসা থাকতে হবে। সেই মহব্বত ও ভালোবাসা থেকে আল্লাহর ঘর নির্মাণের উদ্যোগ আল্লাহ আমার মাধ্যমে শুরু করিয়েছেন। এর পেছনে অগণিত মুসলমান ও ধর্মপ্রাণ মানুষের শ্রম ঘাম আছে।”
ছবিঃ সংগৃহীত