| বিকাল ৩:০১ - রবিবার - ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৭শে সফর, ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহে ভাতিজার হাতে চাচা হত্যায় ঘটনায় গ্রেফতার-১

ফুলবাড়িয়া ব্যুরো :  ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচা মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের বড় ছেলে শাকিল হোসেন বাদী হয়ে ৩জন কে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় উভয় পরিবারে শোকের মাতম বইছে।

 

সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, আব্দুর রহমান হত্যার ঘটনায় স্ত্রী সখিনা খাতুন বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে বিলাপ করছেন। তাকে শান্তনা দেয়ার জন্য শত শত মহিলারা বাড়ীতে ভীড় জমিয়েছেন। সখিনা খাতুন জানিয়েছেন আমার স্বামীর কী অপরাধ ছিল? বাবা হত্যার বিচার দাবী করেছেন নিহতের তিন ছেলে। ভাই হত্যার বিচার দাবী করেন নিহতের বোনসহ স্বজনরা।

 

হত্যার প্রধান আসামী কবিরের মা আমেনা খাতুন জানিয়েছেন, আমার বাবা ঢাকার একটি কলেজে লেখা-পড়া করত। প্রায় ৬মাস আগে কবিরের বন্ধুরা তাকে (কবিরকে) বাড়ীতে নিয়ে এসে বলে, আমরা সবাই ভাল থাকলেও কবির ভাল নেই। মাথার ডাক্তার দেখাতে হবে কবির কে। সেই থেকে কবিরের চিকিৎসা চলছে। কখনো কবিরাজ বাড়ী আবার কখনো ডাক্তারের চেম্বারে। কোন শোকে বিলাপ এ কথার উত্তরে বলেন, একদিকে নাতী হারালাম অন্যদিকে ছেলেও হারালাম, সে পাগল। অভাবের সংসার ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যাবে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের বড় ভাই মো: আব্দুস ছালাম জানিয়েছেন, দাফন করার প্রাক্কালে হঠাৎ আল্লাহু আকবর বলে বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার ছোট ভাই (আ. রহমান) কে আঘাত করলে তার মাথা দিয়ে রক্তক্ষরন শুরু হয়। আমার ভাতিজা তাহেরসহ সবাই মিলে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

 

হত্যা বিচার দাবী করে সোমবার ফুলবাড়ীয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নিহতের বড় ছেলে শাকিল। আসামী করা হয়েছে নিহতের সহোদর ছোট ভাই গোলাব আলী (দুলাল), বড় ছেলে কবির হোসেন, ছোট ছেলে আবু তাহের।

 

থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিফাত খান রাজিব হত্যা মামলার সততা নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 

উল্লেখ্য, রোববার উপজেলার ৩নং কুশমাইল ইউনিয়নের নিউগী কুশমাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকালে কবিরের ছোট ভাই তাহেরের ঘরে একটি সন্তান জন্ম নেয়। সন্তানটি সে দিন বিকালে মারা যায়। মৃত সেই শিশুকে রোববার কবর দেওয়ার জন্য পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে গেলে দাফনের জন্য প্রস্তুতকৃত বাঁশ দিয়ে হঠাৎ কবির তার চাচার মাথায় আঘাত করে। এতে মারাত্মক আহত হন তিনি। পরে দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 

ছবিঃ লোক লোকান্তর

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:৩৪ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ৩১, ২০১৭