| বিকাল ৩:৩৩ - রবিবার - ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

উদুর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে

আজহারুল হক, গফরগাঁও,১৯ ডিসেম্বর,২০১৫ঃ  ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও ওয়ার্ড আ.লীগ সাধারন সম্পাদক আজিজুল হকের মাকে হত্যার অভিযোগে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী পদপ্রার্থী ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি আনিছুর রহমানসহ তার ১৯ সমর্থকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে গত বৃহস্পতিরবার রাতে হত্যা, ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন আজিজুল হক। ওই মামলায় একই ওয়ার্ডের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মোতালেবকে আসামী করা হয়েছে।
প্রার্থী মোতালেবের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ সংঘর্ঘ হলো আ.লীগের দুই প্রার্থীর মধ্যে। এ ঘটনায় মামলাও হলো। অথচ পরিকল্পিতভাবে কাউন্সিলর প্রার্থী মোতালেবকে মামলায় আসামী করা হলো। এ যেন উদুর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার মতো।
কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনিছুর রহমান ও আজিজুলের বাড়ি পাশাপাশি। আর আমার বাড়ি তাদের বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে। তাদের দুজনের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ ও বাড়িতে হামলার খবরটি আমি ওইদিন রাত ১১টার পর জানতে পারি। আমার নির্বাচণী মাঠ অত্যন্ত ভাল থাকায় ইচ্ছা করেই আমাকে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে। যেন আমি পুলিশি হয়রানির ভয়ে নির্বাচনী মাঠে না থাকি। মিথ্যা এ মামলার জবাব আমার ওয়ার্ডবাসী ব্যালটের মাধ্যমে অবশ্যই দিবে।
প্রসঙ্গত  গত বুধবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গফরগাঁও রেলস্টেশন চত্বরে আ.লীগ আয়োজিত সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে মিছিল নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আজিজুল হক তার বাড়িতে লোক জড়ো করে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। পরে খাবার পরিবেশনের সময় কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুলের লোকজনের সাথে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী আনিছুরের লোকজনের তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে আনিছুরের লোকজন আজিজুলের লোকজনের উপর হামলা চালায়। হামলায় কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুল হকসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পরে ওইদিন সন্ধায় আবারো আনিছের লোকজন আজিজুলের বাড়িতে হামলা চালালে তার মা বাবেয়া খাতুন নিহত হন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:১০ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫