| রাত ১২:৪৫ - বুধবার - ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  সংবাদদাতা ঃ  ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার,

যথাযোগ্য মর্যদায় ও ভাব গম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে নিহত অগণিত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস । আমরা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি -স্বাধীনতার সর্বাধিনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং জন্ম হয় বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। আমরা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করি অগণিত দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁরা অকাতরে দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। ভাইস-চ্যান্সেলর আরও বলেন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়নত্মীকে সামনে রেখে এ দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর তথা মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার সূচিত ‘ভিশন ২০২১’ অনুযায়ী আমাদের জিডিপির প্রধান খাত কৃষির যুগোপযোগী উন্নয়নে তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে গতিসঞ্চারে আমাদের সদিচ্ছাকে আরও সুসংহত করতে হবে। অব্যাহত এই উন্নয়নধারায় গতিসঞ্চারের মধ্য দিয়ে বিশ্ব-মানচিত্রে আগামী প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলতে হবে সুখী, সমৃদ্ধ ও আলোকিত বাংলাদেশ। তাহলেই বাসত্মবায়িত হবে জাতির জনকের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’।
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল ১৬ ডিসেম্বর সকালে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির পক্ষ হতে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী। জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ জসিম উদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর। পরে শিড়্গক সমিতির পরিচালনায় সভাপতি ড.খন্দকার শরীফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদারের পরিচালনায় ভাইস-চ্যান্সেলরসহ অন্যান্য সংগঠন ও সংস’া কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসত্মম্ভ ‘মরণ সাগরে’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও পুষ্প সত্মবক অর্পণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারবর্গের সংবর্ধনা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন ,কে বি আই কলেজ, কে বি হাই স্কুল, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যালয়, মহিলা সংঘ, অফিসার পরিষদ, বাকৃবি কর্মচারি সমিতি ও কর্মচারি পরিষদ, বাকৃবি কারিগরি কর্মচারি সমিতির উদ্যোগে প্রীতি খেলাধূলা, বিভিন্ন আবাসিক হলে নিজ নিজ হলের কর্মসূচি অনুযায়ী প্রীতি খেলাধূলা ও পুরস্কার বিতরণী। দিবসের অপরাপর কর্মসূচির মাঝে রয়েছে দুপুর সকল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও শানিত্ম কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, সন্ধ্যা সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অবনমন এবং সন্ধ্যায বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যবস’াপনায় প্রশাসনিক ভবন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস-ম্ভ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ আলোকায়ন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫