| সকাল ৬:৪৫ - শনিবার - ১৯শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনায় ব্যাপক চাঁদাবাজি

 

ফুলবাড়ীয়া ব্যুরো অফিস : ১৭ অক্টোবর ২০১৫, শনিবার,

নিয়ম অনুযায়ী সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী বদলী হয়ে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে চলে যাবেন বা অবসরে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। আবার বিদায় সংবর্ধনা ও উপঢৌকন দেয়াও স্বাভাবিক। সেটা যদি অতি মাত্রায় তোষামোদ করার জন্য অনেক টাকা উত্তোলন করা সেটাও এক ধরনের চাঁদাবাজি বটে! এমন ঘটনা ঘটেছে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. এ.কে.এম সিদ্দিকুর রহমান এর বিদায় সংবর্ধনার নামে প্রতিজন ডাক্তারের কাছ থেকে ১হাজার টাকা, ২য় শ্রেণীর কর্মচারী ৭শ টাকা, ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী ৪শ টাকা, এম এল এস এস ২শ টাকা হারে মোট ১লাখ ৮হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছেন। এ বিশাল চাঁদাবাজির সংবর্ধনা গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্স চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সংশিস্নষ্ট সূত্র আরও জানিয়েছেন ডা. এ. কে এম সিদ্দিকুর রহমান কে নেত্রকোণার দূর্গাপুরে বিদায় সংবর্ধনায় স্বর্ণের চেইন দেয়া হয়েছিল। আর ফুলবাড়ীয়াতে এর চেয়ে কম দেয়া যায় কি করে। এ প্রসঙ্গে স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মাহবুব ও ব্রাদার আল-আমিন কতিপয় সি এইচ সি পি অতি উৎসাহিত হয়ে কর্তার ইচ্ছায় ২৩হাজার টাকা দিয়ে নোটবুক (ল্যাপটপ) উপহার দেয়া হয়। অথচ প্রথমে তাঁর জন্য বাজেট ধরা হয়েছিল ২০হাজার টাকা। জনশ্রম্নতিতে প্রচার আছে ফুলবাড়ীয়াতে কর্মরত কতিপয় ডাক্তার, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, কর্মচারীসহ কিছু সি এইচ সি পি কর্মস’লে সুকৌশলে গড় হাজিরা দিয়ে বেতন নিচ্ছেন তারাই এসব অনৈতিক কাজে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছেন। সূধী সমাজ মনে করেন এঘটনাটি ফুলবাড়ীয়া স্বাস’্য বিভাগের জন্য কালো অধ্যায় সুচনা হল এবং কর্মস’লে ফাঁকি দেয়ার অভ্যাস এখন আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এ. কে.এম মোসত্মফা কামাল এর কাছে বিশাল চাঁদাবাজির ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত তাদের সংগে কথা বলেন- এমন চাঁদাবাজি হবে কেন?
এ প্রসঙ্গে  শনিবার সকালে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস’ ও প: প: কর্মকর্তা ডা. মুশাহিদা আন্‌নূর রেনু বলেন, আমি কয়েকদিন আগে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছি এ প্রোগ্রামের জন্য গঠিত উপ-কমিটিতে সকল লেভেলের কর্মকর্তা/কর্মচারী নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে- এখনও কেউ চাঁদা দেয়নি বা কারো আপত্তি থাকলে আমরা তার কাছ থেকে টাকা নিবো না। ১লাখ ৬/৭হাজার টাকা উঠতে পারে। আমরা বিদায়ী স্যার ডা. এ. কে এম সিদ্দিকুর রহমান ও অবসর প্রাপ্ত ডা. কামরুজ্জামান (জামান) কে সমানভাবেই মূল্যায়ন করব।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৩৬ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ১৭, ২০১৫