মোবাইল চুরির অভিযোগে ৮ বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি | ৪ অক্টোবর ২০১৫, রবিবার,
মোবাইল চুরির অভিযোগে ৮ বাড়ি ভেঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী। লুটপাট করা হয় বাড়ির আসবাবপত্র। কেটে নেওয়া হয় বাড়ির সব ধরণের গাছপালা। ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল। ৩ ঘন্টা ব্যাপি চলে বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের মহোৎসব। রোববার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মুক্তাগাছা উপজেলার খিলগাঁতী গ্রামে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর বর্বরতায় আরো উৎসাহিত হয়ে উঠে কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম খিলগাঁতী। ওই গ্রামের নুরু মিস্ত্রির দোকান থেকে গত রোজার ঈদে একটি মোবাইল সেট চুরি হয়। ঈদুল আযহায় ওই মোবাইল পাওয়া যায় একই গ্রামের রিপন ও ফরহাদের কাছে। মোবাইল চুরির কথা বলায় ও্ই এলাকার মোবারককে মারধর করে রিপন ও ফরহাদ। এ নিয়ে ঈদের পর দিন খিলগাঁতী বাজারে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে শালিস বৈঠক হয়। ওই শালিসে সিদ্ধান্ত হয় তারা ১৫ দিনের মধ্যে তাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে। শনিবার এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আবারও ঝগড়া হয় গ্রামবাসীর। এ ঘটনায় রোববার দুপুর ২টায় খিলগাঁতী, বানিয়াকাজী, পলশা, ইটাচকি, ঘোষবাড়িসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ খিলগাঁতী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে একত্রিত হয়। পরে প্রথমে তারা খিলগাঁতী গ্রামের জামালের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এর পর তাদের পরিবারের সদস্য জয়নাল, কাজীবর, মজিবর, কাজল, জামাল, আলাল, দুলাল ও ফারুকের বাড়িসহ ৮টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে কয়েক হাজার গ্রামবাসী। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক মজিবুর রহমান পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কয়েকশ গ্রামবাসীর কাছে মুক্তাগাছা থানার ওসি ফজলুল করিম তার বক্তব্যে বলেন গ্রামবাসীর পক্ষে আমি আছি। আপনাদের সব কাজে সহযোগিতা করবো। এ কথা বলেই ওসি তার পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। এর কিছু সময় পর বিকেল সাড়ে ৩টায় গ্রামবাসী আবারো নতুনভাবে উৎসাহিত হয়ে ওই বাড়িগুলোতে হামলা চালায়। লুটপাট আর বাড়িতে আগুন দেওয়ায় যেন ওই এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতার মহোৎসবে রুপ নেয়। এ সময় গ্রতিগ্রস্থ অসহায় পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করেন।