তাড়াইলে অপহরণের দুই সপ্তাহ পরও খোঁজ মেলেনি কলেজ ছাত্রী জেসমিনের থানায় মামলা দায়ের
আমিনুল ইসলাম বাবুল,১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, বৃহস্পতিবার: কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে অপহরণের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও খোঁজ মেলেনি কলেজ ছাত্রী জেসমিন আক্তারের (১৭)। অপহৃত জেসমিন আক্তার তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের চিকনী গ্রামের দিনমজুর রম্নসত্মম আলীর মেয়ে। গত ২৮ আগস্ট বিকালে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের রাসত্মা থেকে উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের কোণাভাওয়াল গ্রামের মৃত কালা ভূঁইয়ার ছেলে একসনত্মানের জনক রাজিব ভূইয়া (২৭) মাইক্রোবাসে তুলে জেসমিনকে নিয়ে যায়। এঘটনায় থানায় মামলা করতে চাইলে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি দামাচাপা উঠেপড়ে লাগে। তাঁরা মেয়েটিকে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর দিনমজুর বাবাকে মামলা করতে নিষেধ করেন। কিন’ নানা টালবাহানায় মেয়েটিকে ফিরিয়ে না দিয়ে অপহরণকারি রাজিবের পড়্গ নেয় মাতব্বররা। পরে ঘটনার ১০ দিন পর রোববার রাতে মেয়েটির বাবা রম্নসত্মম আলী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে তাড়াইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগটি তদনত্ম শেষে বুধবার রাতে মামলা হিসেবে রম্নজু করে।
মামলার বিবরণ ও অপহৃত কলেজ ছাত্রীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, কোণাভাওয়াল গ্রামের মৃত কালা ভূঁইয়ার ছেলে এলাকায় রাজিব ভূঁইয়া এলাকায় জুয়াড়ি ও মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। সে পাশ্ববর্তী চিকনী গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে জেসমিনকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই প্রেম নিবেদনসহ কুপ্রসত্মাব দিয়ে আসছিল। মেয়েটি এ প্রসত্মাবে সারা না দেয়ায় রাজিব প্রতিদিনই তাঁকে পথ আটকে বিভিন্নভাবে উত্তোক্ত করতে থাকে। এবিষয়টি জেসমিন তার বাবা-মাকে জানালে তারা রাজিবের মা এবং বড় ভাইকে জানান। এতে ড়্গিপ্ত হয়ে গত ২৮ আগস্ট বিকেলে জেসমিন কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাজিব ভূঁইয়ার বাড়ির অদূরে ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে রাসত্মা থেকে রাজিব ও বড় ভাই রম্নমানসহ অজ্ঞাত ৫-৬ যুবক জেসমিনকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে জেসমিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
মামলার বাদী রম্নসত্মম আলী জানান,‘রাজিব ভূঁইয়া বিবাহিত, মাদকসেবি ও জুয়াড়ি। বিভিন্ন সময়ে সে আমার মেয়েকে প্রেম নিবেদনের পাশাপাশি কুপ্রসত্মাব দিয়ে আসছিল। মেয়ে আমাদের বিষয়টি জানানোর পর আমি রাজিবের মা এবং বড় ভাইকে ঘটনাটি জানানোর পর তাঁরা ড়্গিপ্ত হয়ে ওই দিন আমার মেয়েকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। আমি মেয়েকে ফেরত চাই। সেই সাথে এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টানত্মমূলক শাসিত্ম চাই’।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দোকার শওকত জাহান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘মেয়েটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে বিভিন্নস’ানে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই এদের গ্রেপ্তারসহ মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে’।