| সকাল ৯:৩৯ - মঙ্গলবার - ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুর ম্যানেজিং কমিটির গ্যাঁড়াকলে মাধ্যমিক শিক্ষা

সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) থেকে ঃ
ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্ব, কমিটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, পরিবার কেন্দ্রীক নিয়োগ কিংবা স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে কমিটির বিরোধের কারণে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া এসব বিরোধ নিয়ে চলছে মামলা-পাল্টামামলা। সেসব মামলা এখন আদালত পর্যনত্ম গড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ম্যানেজিং কমিটির কারণেই মূলত গৌরীপুর উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন অস্থিরতা চলছে। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক কিংবা প্রভাবশালী মহল হয়ে উঠেছে কমিটির প্রতিপক্ষ। এসব কারণে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। গৌরীপুর উপজেলার মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ে একবছর ধরে প্রধান শিক্ষকের সাথে ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্ব চলছে। এই দ্বন্দ্বের জেরে বিদ্যালয়ে হামলা-ভাংচুর এমনকি একের পর এক মামলা চলছে। সভাপতির সাথে প্রধান শিড়্গকের অনত্ম:কোন্দলের জের ধরে প্রধান শিড়্গক মোঃ শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস’ করেছে ম্যানিজিং কমিটি। এই বরখাসেত্মর সিদ্ধানত্মকে অবৈধ ও অনিয়মতান্দ্রিক চ্যালেঞ্চ করে প্রধান শিড়্গক আদালতে মামলা করেন। পরে তিনি পুলিশ প্রহরায় বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বিদ্যালয়ের ম্যানিজং কমিটির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্য সহ এলাকার বেশকিছু লোককে বশে আনতে কৌশল হিসেবে প্রধান শিড়্গক মোঃ শফিকুল ইসলাস বাদী হয়ে গত ২৮ আগষ্ট গৌরীপুর থানায় ২৭ জনের নাম উলেস্নখ করে দ্রম্নত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে সভাপতির দ্বন্দ্বের মূল কারণ হলো শিক্ষক নিয়োগ। ৫জন শিড়্গকের শুন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও দু’জনের ভাগাভাগির দ্বন্দ্বের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ঝুলে গেছে। স্থানীয়রা জানান, কমিটির বিরোধের কারণেই বর্তমানে বিদ্যালয়েটিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। নিয়োগ নিয়েও চলছে জটিলতা। বর্তমান বিরোধের আগেও শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ সময় বিভিন্ন ঝামেলা ছিল বলেও জানান তারা। এই বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ বিরোধই পুরনো। এই দ্বন্দ্বে বর্তমানে ৬ মাস ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রযেছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নানান ভাবে হয়রানি সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: শামসুজ্জামান মাসুদ এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর হয়। পরে ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বরখাসত্ম করে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি, শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজনের বিরোধে লেখাপড়ার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ভাবে দ্রম্নত এ সমস্যার সমাধান দরকার।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:১৪ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৫