| বিকাল ৫:১৪ - শনিবার - ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দারিদ্রের কারণে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত মেধাবি তানজিনা

আমিনুল ইসলাম বাবুল : ১১ আগস্ট ২০১৫, মঙ্গলবার:

তাড়াইলের দুইটি কলেজ থেকে ছয় শতাধিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে একমাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছেন তানজিনা আক্তার। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা কলেজ থেকে এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ছিলেন তানজিনা আক্তার। ভাল ফলাফল হলেও অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত তানজিনা ও তাঁর মা-বাবা।
তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নের সহিলাটি গ্রামের বাসিন্দা তানজিনার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, সম্পদ বলতে তাঁদের একখন্ড ভিটায় ছোট্ট একটি টিনের চৌচালা। ছয় সদস্যের পরিবার গাদাগাদি করে বাস করেন এই ঘরে। বাবা সাইকুল ইসলাম তাড়াইল পুরাতন হাসপাতাল বাজারে প্রতিদিন সকালে ফুটপাতে চালের ব্যবসা করেন। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে বড় ভাই একই কলেজে বিএ (পাস) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ছোট ভাই ষষ্ট শ্রেণিতে এবং ছোট বোন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে।
তানজিনার বাবা সাইকুল ইসলাম (৫০) জানান, ‘প্রতিদিন সকালে চাল বিক্রি কইর‌্যা ১৫০-২০০ ট্যাহা রোজগার করি। এতে করে ছয়জনের সংসার চলে। পরীক্ষায় মেয়ে আমার ভালা পাস দিছে। সামনের দিনে মেয়ের লেহা-পড়ার খরচ কেমনে চালাইবাম হেই চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না’। মা অনুফা বেগম (৪২) বলেন, মাইয়্যারে এহন কেমন করে পড়া-লেহা করাইবাম চিন্তায় অস্থির আমরা।
কথা হলে তানজিনা আক্তার বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষা শেষ করে কলেজের শিক্ষক হতে চাই। জিপিএ-৫ পেলেও অভাব আমার চলার পথে কাটা হয়ে আছে। কী-ভাবে কি হবে আলস্না-ই জানেন’।
তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষ্ এ.টি.এম. মোস্তফা বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান তানজিনা আক্তার অত্যন্ত মেধাবি। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেলে মেয়েটি অবশ্যই কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:৫৮ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১১, ২০১৫