অদম্য মেধাবী গোল্ডেন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত রিক্সা চালকের ছেলে এখন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত
আজহারম্নল হক, গফরগাঁও, ৩১ মে ২০১৫, রবিবার,
দারিদ্রতাকে পরাজিত করেছে ধৈর্য্য, শ্রম, কঠোর অধ্যবসা ও চরম অর্থকষ্টে থেকেও অদম্য মেধাবী জাহিদ হাসান হৃদয় এবার ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পিএসি ও জেএসসিতেও সে জিপিএ- পেয়েছে। সে উপজেলার পাঁচপাই গড়াবেড় গ্রামের রিক্সা চালক বাদল মিয়ার ছেলে। তার আরেকটি প্রতিবন্ধি বোন রয়েছে। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী।
সংসারের প্রচন্ড অভাবের সাথে যুদ্ধ করে হৃদয় এসএসসি পরীক্ষা পর্যনত্ম লেখাপড়া চালিয়ে এসেছে। ভাল ফলাফলের কারণে বন্ধুরা যখন উৎফুল্ল ঠিক তখনই উচ্চ শিক্ষা নিয়ে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে দারিদ্রতা। আগামী দিনে দারিদ্রতার কারণে তার আর লেখাপড়া হবে কিনা এ নিয়ে সে শঙ্কিত।
জাহিদের বাবা বাদল মিয়া বলেন, ছেলে জাহিদ ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছিল । অভাবের সংসার থাকলেও সে কখনো পড়াশুনায় ফাকি দেয়নি। এভাবেই সে নিজের চেষ্টায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমার সব স্বপ্ন এ ছেলেকে নিয়ে। সে পড়াশুনা করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই আমার প্রত্যাশা।
জাহিদ হাসান হৃদয় জানায়, সে প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে শুরু করে রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন- এবং সকালে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা লেখাপড়া করেছে। সে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়।
গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম শিকদার জানান, জাহিদ স্কুলের পড়া সব সময়েই তৈরি করে আসতো। সে কখনো ফাকি দেয়নি বলে আজ তার এ সাফল্যে। তার প্রতি আমাদের সকলের শুভাশীষ রইলো।