| রাত ১:৩৫ - বুধবার - ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঢাকা-শিলং-গৌহাটি রুটে পরীক্ষামূলক বাস চলাচল ২২ মে থেকে

লোক লোকান্তর ডেস্ক,  ১৮ মে, সোমবার,

আগামি ২২ মে থেকে ঢাকা-শিলং-গৌহাটি রম্নটে পরীক্ষামূলক বাস চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে শিগগিরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল সড়কপথে যুক্ত হওয়ার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আজ সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ স্বাক্ষরিত সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকালে ভারতের নয়াদিলিস্নর পরিবহন ভবনে সে দেশ সফররত বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহন, মহাসড়ক ও নৌপরিবহনমন্ত্রী নিতিন গাদকারির মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকা-শিলং-গৌহাটি রম্নটে আগামি ২২ মে পরীক্ষামূলকভাবে বাস চলাচল শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়। এজন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কার্যক্রম দ্রম্নত এগিয়ে নিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। এ ছাড়াও চার দেশের মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগের বিষয়টিও আলোচনায় প্রাধ্যান্য পায়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সড়ক নেটওয়ার্ক আরো জোরদারকরণে দুইদেশের মধ্যে প্রস্তাবিত নানা চুক্তি ও প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। ভারতের সম্ভাব্য ২য় ঋণ সহায়তার আওতায় বিআরটিসির জন্য পাঁচশ ট্রাক, তিনশ ডাবলডেকার বাস, একশ আর্টিকুলেটেড বাস এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবে ভারত ইতিবাচক সাড়া দেয়। এ বাদেও ভারতের সহায়তায় রামগড়-সাবরুম পয়েন্টে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস চালু, আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণসহ অন্যান্য বিষয়াদিও সোমবারের বৈঠকে আলোচিত হয়। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তিনি দীর্ঘ প্রত্যাশার স্থলসীমানত্ম চুক্তি বাসত্মবায়নে সংবিধান সংশোধন বিল ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার, বিরোধী দলসহ সব রাজনীতিক দল এবং ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দুইদেশের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধ রচনা করতে চাই।
বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারত সরকারের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী দুইদেশের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্ক জোরদার করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরম্নত্ব আরোপ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দুইদেশের মধ্যে সহযোগিতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নতুন দিগনত্ম উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামি জুন মাসে সড়কপথে চার দেশ পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হতে সম্ভাব্য চুক্তি স্বাড়্গরের জন্য চারদেশের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে মিলিত হবেন।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাত সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন- সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এম. ফিরোজ ইকবাল, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব চন্দন কুমার দে, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শিশির কান্তি রাউত এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।
এ সময় নয়াদিলিস্নর বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার সালাহ উদ্দিন নোমান চৌধুরী, হাইকমিশনের প্রথম সচিব শেখ শাহরিয়ার মোশাররফ প্রতিনিধি দলে উপসি’ত ছিলেন। ভারতের সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী চারদিনের সফরে বর্তমানে ভারতের রাজধানী নয়াদিলিস্নতে অবস্থান করছেন।এফএনএস:

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:২৬ অপরাহ্ণ | মে ১৮, ২০১৫