| রাত ১০:০৯ - শুক্রবার - ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক| | ৭ মে ২০১৫, বৃহস্পতিবার,

 স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে রাজ্যসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করায় ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি।  আজ সন্ধ্যায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ কথা জানান। তিনি বলেন, সীমান্ত চুক্তিটি বাস্তবায়ন করায় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ ৫০০ একর জমি হারালেও দুই দেশের ছিটমহলের অধিকার বঞ্চিত মানুষগুলো তাদের অধিকার ফিরে পাবে। তারা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। দুর্ভোগ কমবে। তিনি বলেন, এ চুক্তিটি মূলত কংগ্রেস সরকারে সময়ে হয়েছিল। সেসময় ভারত সরকার তাদের জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণœ রাখার জন্য চুক্তি নিয়ে তৎকালীন বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে কথা বললেও বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে এ বিষয়ে কোন আলোচনা করেনি। এখন সেখানে কি রাখা হয়েছে, কি রাখা হয়নি- তা আমরা বুঝতে পারছি না। চুক্তিটি প্রকাশ হলে  বোঝা যাবে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হচ্ছে। যাত্রাবাড়ীতে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিটকে ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করে রিপন বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতেই খালেদা জিয়াসহ বিএনপি  নেতাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলামÑ ৫ই জানুয়ারি সংবিধান রক্ষার নামে নির্বাচনের পর তারা মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে  দেবে। কিন্তু তারা তা করেনি, বরং বিরোধী দল তথা বিএনপিকে সভা-সমাবেশ এমনকি কথা বলা থেকে পর্যন্ত বিরত রাখছে। শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল আন্দোলন ডাকতে বাধ্য হয়। বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, এই আন্দোলন চলাকালে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিদেশী কূটনীতিকরা প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি প্রধানকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। এজন্য আলোচনায় বসতে সহনশীল ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরিরও তাগিদ দেন তারা। সে কারণে খালেদা জিয়া আশা করেছিলেন, সরকার এবার অন্তত সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হবে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন দিতে উদ্যোগী হবে। কিন্তু সে প্রত্যাশাও রাখেনি সরকার। তারা এখন বিরোধী দলকে দমন করতে মামলা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতি বিশ্বাস করে না। যারা যাত্রাবাড়ীর হামলায় জড়িত তাদের বিচার দাবি করছি আমরা।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০:০১ অপরাহ্ণ | মে ০৭, ২০১৫