| রাত ১২:০৩ - শনিবার - ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আইএসের ৪ নেতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ২ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক | ৬ মে ২০১৫, বুধবার:

কট্টরপন্থী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অন্যতম শীর্ষ ৪ নেতাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ২ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। এ চারজন হলেন: আব্দ আল-রহমান মুস্তফা আল-ক্বাদুলি, আবু মোহাম্মদ আল-আদনানি, তারখান তায়ুমুরাজোভিচ বাতিরাশভিলি এবং তারিক বিন-আল-তাহার বিন আল ফালিহ আল আল-’আওনি আল-হারজি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ‘রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস প্রোগ্রাম’-এর আওতায় সন্দেহভাজনদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদের। গতকাল আইএস দাবি করে, য্ক্তুরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে জড়িত সংগঠনটি। আইএস বলেছে, ডালাসের কাছে গার্ল্যান্ডের একটি সম্মেলন কেন্দ্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রতিযোগিতা চলাকালীন হামলা চালিয়েছিল ‘খেলাফতের দুই সৈনিক’। ইরাকে আইএসে যোগদানকারী ক্বাদুলিকে জঙ্গি সংগঠনটির অন্যতম শীর্ষনেতা বলে বর্ণনা করে যুক্তরাষ্ট্র। তার অবস্থানের ব্যাপারে তথ্য পেতে ৭০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আদানানি ও বাতিরাশভিলির অবস্থানের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য ৫০ লাখ ডলার করে এবং হারজির জন্য ৩০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। আদনানিকে আইএসের মুখপাত্র বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বাতিরাশভিলিকে উত্তর সিরিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রের কমান্ডার এবং হারজিকে আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের প্রধান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস প্রোগ্রামের আওতায় অপর শীর্ষ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির অবস্থানের ব্যাপারে তথ্য দেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ-পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। জাওয়াহিরিকে ধরিয়ে দিতে আড়াই কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদিকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। গত রোববার মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রতিযোগিতায় গুলি চালায় দুই বন্দুকধারী। পরে উভয় বন্দুকধারীই পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলিতে নিহত হয়। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ওই হামলা চেষ্টার সঙ্গে আইএসের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ ছিল তাদের। ব্যঙ্গচিত্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর জন্য ১০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের কাছে মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র আঁকার বিষয়টি অত্যন্ত ঘৃণ্য ও গর্হিত কাজ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:০৬ অপরাহ্ণ | মে ০৬, ২০১৫