| বিকাল ৩:৩৭ - বুধবার - ২৭শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৬ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে মশা নিধনে অবমুক্ত করা হল ব্যাঙ

ময়মনসিংহ নগরীতে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে লার্ভা ধ্বংসকারী ২ হাজার ব্যাঙ খালে ও ড্রেনে অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও মশা খেকো মাছও অবমুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

 

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার হরি কিশোর রায় রোড মাকরজানি খালে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী ২  হাজার ব্যাঙ অবমুক্ত করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র মো. আসিফ হোসেন ডন, প্যানেল মেয়র শামীমা আক্তার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

 

উদ্বোধন শেষে মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, মশক নিধনে নিয়মিত প্রতিটি ওয়ার্ডে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে। কর্মসূচিকে আরও বেগবান করার জন্য জৈবিক পদ্ধতিতে মশক নিধনের বেশকিছু কার্যক্রম গতবছর হাতে নেওয়া হয়েছিল।

 

 

তিনি বলেন, গত বছর উন্মুক্ত জলাশয়ে মশা খেকো মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। মশক নিধনে জৈবিক প্রক্রিয়ার ব্যবহারের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ রয়েছে। তাই এ বছরও জৈবিক প্রক্রিয়ায় মশক নিয়ন্ত্রণকে জোরদার করা হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, শহর এলাকায় উন্মুক্ত জলাশয় কমে আসছে। এসব জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে মশক নিধনে সুযোগ সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে। তাই আমরা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মশার লার্ভাকে ধ্বংস করে এমন ব্যাঙ উন্মুক্ত করছি। যেসব জলাধারে কিছুটা গভীরতা পাওয়া যাবে সেখানে মশার লার্ভা খেকো মাছ ছাড়া হবে।

 

এছাড়া যেসব জলাশয়ে হাঁসচাষের সুযোগ রয়েছে সেখানে মশক নিধনে হাঁস চাষেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এছাড়াও মশকনিধন একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। সিটি কর্পোরেশন প্রত্যেক জলাধার, ড্রেন ইত্যাদি পরিষ্কারের ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে একই সাথে প্রত্যেক নাগরিককেও তার আঙিনা পরিষ্কার আছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। তবেই কার্যকর মশকনিধন সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:৩৯ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ১৩, ২০২১