| রাত ১:৪৪ - শুক্রবার - ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

গোলাম সোবহান ওয়াকফ স্টেটে শর্ত ভঙ্গ করে মোতয়াল্লী নিয়োগের ষড়যন্ত্র

ডেস্ক রির্পোটঃ  ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গোলাম সোবহান ওয়াকফ স্টেট দলিলের শর্ত ভঙ্গ করে মোতয়াল্লী নিয়োগের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি চক্র। এর ফলে স্টেটের সম্পত্তি বিনষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

জানা যায়, স্টেটের মূল মালিক গোলাম সোবহান আহম্মদ মিয়া। মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে আঃ রশিদ মোতয়াল্লী দায়িত্ব পালনকালে স্টেটের স্বার্থ বিরোধী কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মোতয়াল্লী পদ হারান। পরবর্তীতে আঃ রশিদের ছেলে জাহেদ হোসেন স্টেটের দায়িত্ব নিয়ে নিজ নামে সম্পতি রেকর্ড করলে স্টেটের সম্পতি আত্মস্বাতের অভিযোগে করেন তার আপন ভাতিজা একরাম হোসেন।

 

এ ঘটনায় র্দীঘ তদন্তে জাহেদ হোসেন দোষি সাব্যস্থ হলে মোতয়াল্লী নিয়োগ পান একরাম হোসেন। কিন্তু একরাম হোসেন মোতয়াল্লী হয়ে জাহিদ হোসেনের পদাঙ্ক অনুসরন করে সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত করে স্টেটের সম্পত্তি আত্মস্বাতের চেষ্টা করলে বিজ্ঞ উচ্চ আদালতের রায়ে তিনিও মোতয়াল্লী পদ হারান।

 

ওই সময় আদালতের আদেশে এ স্টেটের রিসিভার ( রক্ষণাবেক্ষণকারী ) নিযুক্ত হন গফরগাও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

 

অতঃপর ওয়াকফ আদালতের দুটি রায়ে এবং উচ্চ আদালতের একটি আদেশে বংশ পরম্পরায় মোতয়াল্লী’র দায়িত্ব পান গোলাম সোবহান আহম্মদ মিয়ার প্রপৌত্র মাহাবুবুর রহমান ওরফে গোলাম মাহাবুব-ই-সোবাহানী।

 

আরো জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর মোতয়াল্লী দায়িত্ব গ্রহন করে স্টেটের তিনটি মৌজায় প্রায় ৩১ একর জমির বকেয়া খাজনা পরিশোধ করে দখল ফিরিয়ে আনেন মাহাবুবুর রহমান। এর মধ্যে এ স্টেটের সাবেক মোতয়াল্লী একরাম হোসেনের চাচা জাহেদ হোসেনের দখলে থাকা ১৮ একর ৬৬ শতাংশ জমিও উদ্ধার করেন বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতয়াল্লী ।

 

বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতয়াল্লী মাহাবুবুর রহমান ওরফে গোলাম মাহাবুব-ই-সোবাহানী বলেন, জীবনের ঝুকি নিয়ে স্টেটের সম্পত্তি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতায় স্টেটের সম্পতি উদ্ধার করে উপকারভোগীসহ দেশ ও দুস্থদের কল্যানে ব্যায় করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, অতি সম্প্রতি অপসারিত মোতয়াল্লী জাহিদ হোসেনের ছেলে শওকত হোসেন জাল জালিযাতির মাধ্যমে আদালতের রায় অবমাননা করে মোতয়াল্লী পদে নিয়োগের পায়তারা করছে। ওয়াকফ প্রশাসনের গুটি কয়েক অসাধু কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধায় অযোগ্য ব্যক্তিকে মোতয়াল্লী নিয়োগের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

 

বিষয়টি ষড়যন্ত্রকারী মহলের মাধ্যমে ফাঁস হয়ে পড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে স্টেটের সুবিধাভোগী ও সচেতন মহলে।
কিন্তু স্টেট দলিলের ২২নং শর্ত অনুযায়ী দোষি সাব্যস্থ কোন মোতয়াল্লী বা তার ওয়ারিশগন মোতয়াল্লী হতে পারবে না এবং এই ওয়ারিশের কেউ স্টেটের সুবিধাভোগী হবে না।

 

ফলে এই শর্ত মতে শওকত হোসেন মোতয়াল্লী পদের অযোগ্য বলে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতয়াল্লী মাহাবুবুর রহমান জানান।

 

এবিষয়ে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রশাসক মো: আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, বিষয়টি নথি না দেখে কিছু বলতে পারছি না। তবে খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২:০২ পূর্বাহ্ণ | জুলাই ২১, ২০২০