করোনা থেকে মুক্তি পেতে ভারতে মন্দিরে মানুষের বলি
লোক লোকান্তরঃ ভারতে মহামারি করোনাভাইরাস বিনাশে মন্দিরের ভেতরে মানুষের বলি বা নরবলির অভিযোগ উঠেছে এক পুরোহিতের বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাতে ওড়িশার কটকে নরসিংহপুর থানা এলাকায় বাঁধহুদা গ্রামের একটি স্থানীয় মন্দিরে এই মানুষের বলি দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর ঐ পুরোহিতকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। নরবলির শিকার ওই ব্যক্তির নাম সরোজকুমার প্রধান (৫২)।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, মহামারী থেকে মুক্তি পেতে দেবতাকে তুষ্ট করতে নরবলি দিয়েছেন মন্দিরের এক বৃদ্ধ পুরোহিত।
বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ওই পুরোহিত জানিয়েছেন, করোনার বিনাশে নরবলির আদেশ তিনি নাকি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। সেই আদেশ মতো মন্দির ভেতরেই কুড়াল দিয়ে এক ব্যক্তির মাথা কেটে বলি দেন তিনি।
দেবীর সন্তুষ্টির জন্য নরবলি দিয়েছেন পুরোহিত এমনটা দাবি করলেও তা মানতে নারাজ এলাকার স্থানীয়রা।
তাদের পাল্টা দাবি, সরোজের সঙ্গে ওই গ্রামের একটি আমবাগান নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিবাদ চলছিল ওই পুরোহিতের। সেই আক্রোশেই এ কাজ করেছেন তিনি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে সরোজের সঙ্গে নরবলি নিয়েই ঝগড়া হয় বলে জানিয়েছেন পুরোহিত। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একটি কুড়াল দিয়ে সরোজের মাথায় আঘাত করেন তিনি। এরপর সেখানেই লুটিয়ে পড়েন সরোজ। এরপর সকালে পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন পুরোহিত।
কটকের ডিআইজি (সেন্ট্রাল রেঞ্জ) আশিসকুমার সিংহ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন পুরোহিত। পরের দিন সকালে তার হুঁশ ফিরলে পুলিশের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। খুনের কথা স্বীকারও করেছেন তিনি।
এদিকে মানুষের বলি তথা নরবলির ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে ওড়িশায়। অভিযুক্তের চরম শাস্তির দাবি করেছেন অনেকে।