ময়মনসিংহে পুলিশের কাছ থেকে পালাতে গিয়ে লাশ হল বকুল
লোক লোকান্তরঃ ময়মনসিংহে পুলিশের অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে বিলের পানিতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজের দ্বিতীয় দিনের মাথায় লাশ হয়ে ফেরত আসলো বাবুল মিয়া বকুল (৪৫)। নিখোঁজের দ্বিতীয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নিখোঁজের দুইদিন পর গ্রামবাসী মিলে সেই বিলের একপাশে লাশটি খুঁজে পায়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়জোড়া বিলের পাশে জুয়ার আসরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোরঞ্জন বর্মণ ও ডিবি পুলিশ অভিযান চালালে জুয়ার আসর থেকে বিলের পানিতে ঝাপদেয় ওই বকুল ।
ঝাঁপ দেওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল বকুল মিয়া। ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ওই দিন মধ্যরাত পর্যন্ত ও পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিলের পানিতে তল্লাশি চালিয়েও ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার মাইকিং করে শতাধিক গ্রামবাসী জড়ো হয়ে বিলের পানিতে নেমে লাশটি খুঁজে পায়। পরে বিল থেকে লাশ উদ্ধার করে মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে রাখা হয়।
ওই সময় উত্তেজিত হয়ে পড়ে জনতা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জাকির হোসেন ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত বকুলের পরিবারকে শান্তনা দেন।
জানা যায়, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের বড়জোড়া গ্রামের বেই বিলের মাঝখানে উচুঠিলা তৈরি করে দীর্ঘ দিন ধরে জুয়াড়িরা জুয়া খেলার আসর বসিয়ে আসছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের ডিবি পুলিশকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোরঞ্জন বর্মণের নেতৃত্বে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়িরা পালিয়ে যাওয়ার সময় চার জনকে আটক করে। ওই সময় মাইজবাগ ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে বকুল মিয়া বিলের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়।
মাইজবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, জুয়া খেলার আসর থেকে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া বকুলের লাশ উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।